২০২৫ এ কেনো আপনি ইউটিউব শুরু করবেন? কারণ যারা অনলাইনে থেকে টাকা ইনকাম করতে চান তাদের জন্য এটি একটি দারুণ সুযোগ।
২০২৫ এ GEN-Z এর কাছে টিভির চেয়ে ইউটিউবই বেশি জনপ্রিয়। বিশ্বে প্রতিদিন ১ বিলিয়নেরও বেশি ঘণ্টা ইউটিউব ভিডিও দেখা হয়। YouTube-এ মাসিক ২.৪৯ বিলিয়ন এরও বেশি active user রয়েছে। আর বিজ্ঞাপন থেকে ইউটিউবের আয়ের পরিমাণও দিন দিন বেড়েই চলেছে। এবং বাংলাদেশেও অনেক জনপ্রিয় ইউটিউবার আছে যাদের কম বেশি আমরা সবাই চিনি।
২০২৪ সালের জানুয়ারিতে, বাংলাদেশে ইউটিউব বিজ্ঞাপন থেকে ১৩.৪ মিলিয়ন ডলার আয় করেছে যেখানে ৪৩.০৪% ইন্টারনেট ব্যবহারকারী ইউটিউবে বিজ্ঞাপন দেখেছে।
ইউটিউব থেকে কিভাবে টাকা আয় করবেন? চলুন জেনে নিই YouTube থেকে কিভাবে টাকা ইনকাম করার উপায় এবং ২০ টি টিপস।
YouTube-এ মাসে $১০০০ আয় করা কি সম্ভব?
হ্যাঁ, একদম ঠিক। ইউটিউবের একটি ফোরামে জানা গেছে, প্রতি মাসে $১০০০ আয় করা মোটেও সহজ নয়। ইউটিউবাররা প্রতি ১০০০ ভিউতে প্রায় $২ আয় করেন। তাই, যদি আপনি প্রতি মাসে $১০০০ আয় করতে চান, তাহলে আপনাকে $১০০০ / $২ × ১০০০ = ৫০০,০০০ ভিউ দরকার হবে। কিন্তু অধিকাংশ চ্যানেলই মাসে এত ভিউ পায় না
কিভাবে ইউটিউব একাউন্ট খুলে টাকা আয় করা যায়? ইউটিউব থেকে আপনি নানাভাবে টাকা ইনকাম করতে পারেন। আজ আমি আপনাদের সাথে এমন কিছু উপায় শেয়ার করবো।
বর্তমানে ইউটিউব চ্যানেল থেকে ১০০০ ভিউয়ের জন্য ১ থেকে ৫ ডলার পর্যন্ত আয় করা সম্ভব। তবে আমেরিকান চ্যানেলে ১০০০ ভিউয়ে আয় হতে পারে প্রায় ৩৫ ডলার। আয়ের এই পার্থক্যের মূল কারণ হলো বিজ্ঞাপনদাতার ধরন এবং টার্গেট অডিয়েন্স।
আপনি যদি একটি সঠিক পরিকল্পনা তৈরি করেন এবং ইউটিউবের গাইডলাইন মেনে কাজ করেন, তাহলে এটি আয়ের একটি বড় প্ল্যাটফর্ম হয়ে উঠতে পারে। সঠিক প্রচেষ্টা আর ধৈর্যই আপনাকে সফল করে তুলতে পারে।
ইউটিউব মনিটাইজেশন মানে হলো আপনার ভিডিও থেকে টাকা আয় করার সুযোগ তৈরি করা। এর জন্য আপনাকে কিছু শর্ত পূরণ করতে হবে।
আপনার youtube চ্যানেলে কমপক্ষে ৫০০ সাবস্ক্রাইবার থাকতে হবে এবং বিগত ১২ মাসে ৪,০০০ ঘণ্টা পাবলিক ওয়াচ টাইম থাকতে হবে। এছাড়াও, 2-step verification চালু থাকা এবং ইউটিউবের কমিউনিটি গাইডলাইন মেনে চলা বাধ্যতামূলক।
যদি আপনি এই শর্তগুলো পূরণ করেন, তাহলে ইউটিউব পার্টনার প্রোগ্রামে যুক্ত হয়ে গুগল অ্যাডসেন্সের মাধ্যমে বিজ্ঞাপন থেকে আয় করতে পারবেন। বিজ্ঞাপন প্রদর্শন থেকে আয় হওয়া টাকার ৫৫% আপনার অ্যাকাউন্টে জমা হবে, আর ৪৫% ইউটিউব নিজের জন্য রাখে।
পদক্ষেপ গুলি সহজ মনে হলেও নিয়ম মেনে এবং ধৈর্য ধরে কাজ করলেই youtube থেকে টাকা ইনকাম করা সম্ভব।
গুগল অ্যাডসেন্স হলো একটি অনলাইন প্ল্যাটফর্ম যা আপনার ইউটিউব ভিডিওতে বিজ্ঞাপন দেখানোর মাধ্যমে আয় করতে সাহায্য করে। এটি চ্যানেল এর সাথে সংযুক্ত করার প্রক্রিয়া অনেক সহজ, তবে কিছু ধাপ অনুসরণ করতে হয়।
১। ইউটিউব স্টুডিওতে সাইন ইন: প্রথমে YouTube Studio-তে লগ ইন করুন।
২। উপার্জন ট্যাব নির্বাচন: বাম মেনুতে উপার্জন (Earnings) ট্যাবটিতে ক্লিক করুন।
৩। AdSense এর জন্য সাইন আপ: YouTube কার্ডে AdSense এর জন্য সাইন-আপ অপশনে START এ ক্লিক করুন। তারপর ইউটিউব অ্যাকাউন্টের পাসওয়ার্ড দিন এবং পুনরায় ভেরিফাই করুন।
৪। অ্যাপ্লিকেশন জমা দিন: অ্যাডসেন্স অ্যাকাউন্ট তৈরির জন্য আপনার প্রয়োজনীয় তথ্য দিন এবং আবেদন জমা দিন। আবেদনটি গুগল পর্যবেক্ষণ করবে।
৫। অনুমোদন পেলেই আয় শুরু: অ্যাডসেন্স আবেদন অনুমোদিত হলে, আপনার ভিডিওতে বিজ্ঞাপন দেখানো শুরু হবে। প্রতিটি বিজ্ঞাপন থেকে উপার্জিত টাকার ৫৫% আপনি পাবেন, বাকি ৪৫% ইউটিউবের কাছে যাবে।
কীভাবে আয় বাড়ানো যায়? নিয়মিত মানসম্মত কনটেন্ট আপলোড করতে হবে। যখন আপনার ভিডিওতে ভিউ বাড়বে সাথে সাথে আয়ও বাড়তে থাকবে। সময় এবং ধৈর্য ধরে কাজ করলে অ্যাডসেন্স আয়ের একটি বড় উৎস হতে পারে।
কেন গুরুত্বপূর্ণ? যত বেশি মানুষ আপনার ভিডিও দেখবে, তত বেশি বিজ্ঞাপন দেখানোর সুযোগ পাবেন। আর সাবস্ক্রাইবার থাকলে, নতুন ভিডিও আপলোড করার পর তা সহজেই বেশি ভিউ পেতে পারে।
ইউটিউব সাবস্ক্রিপশন কীভাবে কাজ করে? যখন কেউ আপনার চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করে, আপনি নতুন ভিডিও আপলোড করলেই তাদের কাছে নোটিফিকেশন যায়। এতে তারা সহজেই আপনার কনটেন্ট দেখতে পারে, আর ভিডিওর ভিউ দ্রুত বাড়ে।
বেশি সাবস্ক্রাইবার মানেই বেশি ভিউ, বেশি বিজ্ঞাপন, এবং বেশি আয়ের সুযোগ।
প্রোডাক্ট প্রোমোশনের কীভাবে কাজ করে?
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হলো অন্যের প্রোডাক্ট বা সার্ভিস প্রচার করে কমিশনের মাধ্যমে আয় করার পদ্ধতি। আপনি আপনার ভিডিওতে কোনো প্রোডাক্ট বা সার্ভিস নিয়ে কথা বলবেন এবং একটি বিশেষ লিঙ্ক (অ্যাফিলিয়েট লিংক) শেয়ার করবেন। যদি কেউ সেই লিঙ্ক ব্যবহার করে কিছু কিনে, তাহলে আপনি তাদের খরচের ৫% থেকে ১০% পর্যন্ত কমিশন পাবেন।
কোন কোন অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম ব্যবহার করতে পারেন?
কেন এটি ইউটিউবে ভালো কাজ করে? আপনার ভিডিওতে কোনো প্রোডাক্ট বা সার্ভিসের রিভিউ বা টিউটোরিয়াল দিলে দর্শক সহজে আগ্রহী হয়। তারা লিঙ্ক ব্যবহার করে কেনাকাটা করলে আপনি কমিশন পেয়ে যাবেন।
ভালো কন্টেন্ট তৈরি করুন, সঠিক অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম বেছে নিন, আর ইউটিউবের মাধ্যমে সহজেই আয় শুরু করুন।
ডোনেশন এর মাধ্যমে আয় করা খুব সহজ। ধরুন, আপনি একটা ভালো উদ্দেশ্য নিয়ে কাজ করছেন, যেমন কোনো চ্যারিটি বা সাহায্য প্রকল্প। মানুষ যদি আপনার কাজটা পছন্দ করে, তারা স্বেচ্ছায় টাকা দিয়ে সাহায্য করতে পারে। এই টাকা দিয়ে আপনি আপনার কাজ চালিয়ে যেতে পারেন। এটা খুবই সাধারণ একটি উপায় YouTube থেকে আয় করার।
স্পন্সরশিপ দিয়ে আয় মানে হলো, কোনো কোম্পানি আপনাকে টাকা দেবে, আর আপনি তাদের পণ্য বা সার্ভিস প্রচার করবেন। এটা দুই পক্ষেরই লাভ।
ইউটিউব থেকে আয় করতে হলে কিছু শর্ত পূরণ করতে হবে।
যেমন:
এই শর্তগুলো পূরণ করলে ইউটিউব থেকে আয় শুরু করতে পারবেন।
এগুলো শেষ করলে, আপনার ইউটিউব চ্যানেল তৈরি হয়ে যাবে। এরপর আপনি একটি ভিডিও তৈরি করে ইউটিউবে আপলোড করতে পারবেন।
আপনি যদি ইউটিউব ভিডিও করতে চান, তাহলে আপনার কিছু প্রয়োজনীয় জিনিস থাকবে:
আপনি কি জানেন ইউটিউব থেকে আয় করলে ট্যাক্স দিতে হয়?
হ্যাঁ, যদি আপনার ইউটিউব থেকে আয় বছরে ৬ লাখ টাকা বা তার বেশি হয়, তাহলে আপনাকে আয়কর রিটার্ন জমা দিতে হবে এবং সম্ভবত ট্যাক্স দিতে হবে। আয়করের নিয়ম বদলাতে থাকে। তাই সঠিক তথ্যের জন্য কোনো ট্যাক্স কনসালট্যান্টের সাথে যোগাযোগ করুন।
মনে রাখবেন:
১। ভিডিওর টাইটেল এবং বর্ণনায় সঠিক কিওয়ার্ড ব্যবহার করুন যা দর্শকদের কাছে পৌঁছাতে সাহায্য করবে।
২। আকর্ষণীয় উচ্চ রেজোলিউশনের থাম্বনেইল ব্যবহার করুন
৩। ব্যাকএন্ডে প্রাসঙ্গিক ট্যাগ ব্যবহার করুন।
৪। নির্দিষ্ট Niche ও ব্র্যান্ড নির্বাচন করুন।
৫। চ্যানেল অপটিমাইজ (বর্ণনা, ব্যানার, এবং প্রোফাইল ছবি) করুন।
৬। Social Champ ব্যবহার করে সহজে ভিডিও শিডিউল, প্রকাশ, এবং মনিটর করুন।
৭। ধারাবাহিকভাবে ভিডিও আপলোড করুন।
৮। বিজ্ঞাপনের জন্য জায়গা রাখুন।
৯। ভিডিও পারফরম্যান্স বিশ্লেষণ করতে অ্যানালিটিক্স ব্যবহার করুন এবং উন্নতি করুন।
১০। ছোট, আকর্ষণীয় ভিডিও তৈরি করুন যা দ্রুত দর্শকদের আকর্ষণ করবে।
১১। দর্শকদের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করতে কমিউনিটি ট্যাব ব্যবহার করুন।
১২। ভিডিওগুলোকে ক্যাটাগরিভুক্ত করে প্লেলিস্ট তৈরি করুন যাতে দর্শকরা সহজে সিরিজ দেখার সুযোগ পায়।
১৩। ভিডিওগুলো অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে শেয়ার করুন।
১৪। দর্শকদের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করতে লাইভ স্ট্রিম ব্যবহার করুন।
১৫। ভিডিও প্রচারের জন্য ইনফো কার্ড এবং এন্ড স্ক্রিন ব্যবহার করুন।
১৬। নতুন দর্শকদের জন্য একটি ওয়েলকাম ভিডিও তৈরি করুন।
১৭। ইউটিউব ভিডিওগুলোকে SEO অনুযায়ী অপটিমাইজ করুন।
১৮। ভিডিওগুলোকে এমনভাবে তৈরি করুন যা দর্শকরা পুরোটা দেখতে আগ্রহী হয়।
১৯। ভিডিওর গুণগত মান বাড়ানোর জন্য Professional Editing Tools ব্যবহার করুন।
২০। সাবস্ক্রিপশন রিমাইন্ডার এবং গিভঅ্যাওয়ে ব্যবহার করুন।
SalmanTheBrownfish (প্রথম বাংলাদেশি সফল ইউটিউবার এবং কিছুটা বিতর্কিত)
বিশ্বের সেরা ইউটিউবার (PewDiePie)।
MrBeast, যার আয়ের পরিমাণ বছরে প্রায় ৫৪ মিলিয়ন ডলার।
নির্ভর করে চ্যানেলের গুণগত মান ও কন্টেন্টের উপর; গড়ে ৬-১২ মাস লাগে।
বিনোদন, টিউটোরিয়াল, রিভিউ, এবং ট্রেন্ডিং টপিক।
আপনি যদি ইউটিউব থেকে আয় করতে চান, তাহলে ধৈর্য এবং সঠিক পরিকল্পনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নিয়মিত ভালো কনটেন্ট তৈরি করতে থাকুন এবং ইউটিউবের নিয়মকানুন মেনে চলুন। সময়ের সাথে সাথে আপনার চ্যানেল বেড়ে যাবে এবং আপনার আয়ও বাড়বে।
আপনি যদি ভালো SEO, Python, WordPress বা YouTube SEO বিষয়ক সহায়তা চান, আমাদের সেবাগুলি ব্যবহার করতে পারেন।
আসসালামুআলাইকুম। গত পর্বে আমারা অন-পেজ এসইও করার কৌশল অর্থাৎ অন-পেজ এসইও পর্ব-১ এ এর গুরুত্বপূর্ণ…
সার্চ ইঞ্জিনে র্যাঙ্কিং এর ক্ষেত্রে অন-পেজ এসইও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে যা ওয়েবসাইটের ভেতরের অপটিমাইজেশন এর…
আপনি জানেন কি, কীভাবে ওয়েবসাইট পিন্টারেস্টে ক্লেইম করবেন? পিন্টারেস্টে ওয়েবসাইট ক্লেম করা খুবই সহজ এবং…
এসইও (সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন) হলো ওয়েবসাইটের র্যাঙ্ক বৃদ্ধি করার প্রক্রিয়া। SEO মূলত ৩ প্রকারঃ অন-পেইজ…
আউটসোর্সিং কী? আউটসোর্সিং শব্দটি ইন্টারনেট জগতে অহরহই শোনা যায়। বর্তমানে এটি একটি জনপ্রিয় ব্যবসায়িক কৌশল।…
ফ্রিল্যান্সিং কী? এটা কতটা জনপ্রিয়? বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং একটি জনপ্রিয় ক্যারিয়ার। নির্দিষ্ট নিয়ম বা অফিসের বাঁধা-ধরা…