ON-Page SEO-এর একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো ইমেজ এসইও। ওয়েবসাইটের কনটেন্টে ছবি যোগ করলে ব্যবহারকারীরা কনটেন্ট ভালোভাবে বুঝতে পারে। তাই ইমেজ ব্যবহার এবং এর SEO করা জরুরি। এটি User Experience বৃদ্ধির পাশাপাশি ওয়েবসাইট র্যাঙ্ক করতেও সাহায্য করে।
Image SEO হলো ওয়েবসাইটের ইমেজগুলিকে সঠিকভাবে অপ্টিমাইজ করার প্রক্রিয়া। এর মাধ্যমে সার্চ ইঞ্জিন সহজেই ছবির বিষয়বস্তু সম্পর্কে বুঝতে পারে এবং এটি দ্রুত র্যাঙ্ক হতে সাহায্য করে।
ইমেজ এসইও-তে ইমেজ টাইপ, সাইজ এবং লোড টাইম এবং ইমেজ ফাইলের নাম অল্ট টেক্সট এবং কীওয়ার্ডের অপ্টিমাইজেশনের করতে হয়।
সঠিকভাবে ইমেজ SEO ওয়েবসাইটের র্যাঙ্কিং এবং ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতা বাড়াতে সাহায্য করে। কারণ:
Image SEO-এর প্রথম কাজ হলো ওয়েবসাইটের কনটেন্ট অনুযায়ী সঠিক ইমেজ নির্বাচন করা। এরপর সার্চ ইঞ্জিনের জন্য অপ্টিমাইজ করা। এর ধাপগুলো বর্ণনা করা হলো:
রিলেটেড আর্টিকেলঃ
ওয়েবসাইটের কনটেন্টে ইমেজ ব্যবহারের পূর্বে এর বিভিন্ন ফরম্যাট সম্পর্কে জানতে হবে এবং সে অনুযায়ী ইমেজ আপলোড করতে হবে, তবেই সঠিক ইমেজ SEO সম্পন্ন হবে।
স্ক্রিনশট, ব্লগ পোস্টের ছবি এবং সাইটের গতির জন্য প্রয়োজনীয় কন্টেন্টের ক্ষেত্রে JPEG ভালো।
ছবির গুণগত মান বেশি লাগবে এবং সাইটের লোড স্পিড একটু কম হলেও চলবে, এমনটা চাইলে PNG ফরম্যাটটি উপযুক্ত মাধ্যম।
আইকন এবং লোগোর ক্ষেত্রে, SVG ফরম্যাটটি উপযুক্ত মাধ্যম।
বর্তমান সময়ে WebP ফরম্যাটটি ওয়েবসাইটের জন্য উপযুক্ত এবং আদর্শ মাধ্যম।
ইমেজের আকার বলতে বুঝানো হয়েছে ছবির পিক্সেল সাইজ (width and height)। ছবির পিক্সেল সাইজ বেশি হলে ওয়েবসাইটের লোড স্পিড কমে যায়।
পিক্সেল সাইজ নির্ভর করে কন্টেন্টে কোন ধরনের ছবি ব্যবহার করা উত্তম এবং সাইটের ডিসপ্লের সাইজের উপর। তবে এর আদর্শ সাইজ হলো ৭২ PPI (pixels per inch)।
ফাইল সাইজ বলতে ছবির স্টোরেজ স্পেস বুঝানো হয়েছে (Kilobyte, Megabyte etc)। ছবির ফাইল সাইজ যত বাড়বে সাইটের লোড স্পিড তত কমবে।
১ MB-এর চেয়ে বড় ছবি ওয়েবপেজের লোডিং টাইম কমিয়ে দিতে পারে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে, ছবি ২ MBএর কম হওয়া উচিত, এবং আদর্শভাবে ৫০০ KB এর কম হওয়া উচিত। তবে ছবির ফরমেট হিসেবে সাইজের পার্থক্য রয়েছে।
Alt Text (Alt Attribute এবং Alt Description নামেও পরিচিত)-এর সঠিক ব্যবহারের মাধ্যমে সার্চ ইঞ্জিনের বট সহজেই ইমেজের বিষয়বস্তু সম্পর্কে বুজতে পারে। কারন সার্চ ইঞ্জিনের বট ছবি বুজতে পারে না, ছবির পিছনের Alt Text এর মাধ্যমে সে ছবিটি কোন বিষয়ে নিশ্চিত হয়।\
এটি SERP এবং Google চিত্রগুলিতে তাদের প্রাসঙ্গিকতা বাড়াতে পারে। এটি স্ক্রিন রিডারদের দ্বারা দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ব্যবহারকারীদের কাছে ছবি বর্ণনা করার জন্যও ব্যবহৃত হয়।
ওয়েবসাইটের UX (ইউজার এক্সপেরিয়েন্স) বাড়াতে টাইটেল ও ক্যাপশন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এর মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা কন্টেন্ট পড়তে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে ফলে দীর্ঘ সময় ওয়েবসাইটে অবস্থান করে যা র্যাঙ্কিং এর ক্ষেত্রে ভূমিকা পালন করে থাকে।
সুন্দর টাইটেল ও ক্যাপশন লেখার কিছু টিপসঃ
বিষয়বস্তু অনুসারে ছবির সঠিক নাম সার্চ ইঞ্জিনগুলিকে ব্যবহারকারীর অনুসন্ধানের ক্ষেত্রে বিষয়বস্তু এবং প্রাসঙ্গিকতা বুঝতে সাহায্য করে।
সাইট ম্যাপ হচ্ছে একটি XML ফাইল যেখানে সাইটের ইমেজগুলোর তথ্য সংরক্ষণ করা হয়। এটি সার্চ ইঞ্জিনগুলিকে ইমেজ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দিয়ে সাহায্য করে, যাতে সেগুলো সহজে ইনডেক্স করা যায় এবং সার্চ রেজাল্টে দেখানো যায়।
সাইট ম্যাপ তৈরির গুরুত্বঃ
স্ট্রাকচার্ড ডেটা যোগ করা হলো ইমেজ সম্পর্কিত অতিরিক্ত তথ্য সার্চ ইঞ্জিনের কাছে সরাসরি পাঠানো। এটি স্ট্রাকচার্ড ডেটা মার্কআপ ব্যবহার করে হয়ে থাকে (যেমন Schema.org)।
এর মাধ্যমে সার্চ ইঞ্জিন ইমেজের প্রাসঙ্গিক বিষয়বস্তু ভালোভাবে বুঝতে পারে এবং সার্চ রেজাল্টে সঠিকভাবে প্রদর্শন করতে পারে।
Schema.org মার্কআপ ব্যবহার করে একটি প্রোডাক্ট ইমেজের স্ট্রাকচার্ড ডেটা যেরকম হয়:
CDN (কন্টেন্ট ডেলিভারি নেটওয়ার্ক) হল বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে থাকা সার্ভারের একটি নেটওয়ার্ক।
এর সুবিধাগুলো হলোঃ
সবসময় যতটা সম্ভব নিজের তোলা বা কপিরাইট নেই (ওয়েবসাইট থেকে ডাউনলোড করলে) এমন ছবি ওয়েবসাইটে ব্যবহার করতে হবে। এতে কন্টেন্টটি ইউনিক হয়ে উঠবে যা ব্যবহারকারীদের আকর্ষণ করবে।
এছাড়া Google-কে ভালো E-E-A-T (Experience, Expertise, Authoritativeness, and Trustworthiness) সংকেত পাঠাতে এবং র্যাঙ্কিং-এ সাহায্য করবে।
ইমেজের আকার কমিয়ে সার্ভারের লোড কম করে এবং ওয়েবসাইটের লোডিং স্পিড বাড়ায় যা এসইও-তে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
জনপ্রিয় কয়েকটি ইমেজ অপ্টিমাইজার প্লাগইনঃ
ইমেজকে সার্চ ইঞ্জিনের জন্য অপ্টিমাইজ করার প্রক্রিয়াই হলো ইমেজ SEO, যাতে সেগুলো সহজে ইনডেক্স হয় এবং সার্চ রেজাল্টে প্রথম পেইজে প্রদর্শিত হয়।
Alt Text সার্চ ইঞ্জিনকে ইমেজের বিষয়বস্তু বুঝাতে সাহায্য করে।
ইমেজ অপ্টিমাইজ করার জন্য TinyPNG, Smush, বা ShortPixel এর মতো টুল ব্যবহার করা যায়। ফাইল সাইজ কমানোর সময় ইমেজের গুণগত মান যাতে ঠিক থাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
ইমেজ ফাইলের নাম সংক্ষিপ্ত এবং প্রাসঙ্গিক কীওয়ার্ড দিয়ে তৈরি করা উচিত।
ইমেজ সাইটম্যাপ সার্চ ইঞ্জিনকে ইমেজগুলোর সঠিক তথ্য দিতে সাহায্য করে। এটি ইমেজগুলো সহজে ইনডেক্স করতে এবং সার্চ রেজাল্টে দেখাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
অনলাইনে আয়ের অন্যতম প্রধান উৎস হল গুগল এডসেন্স ও এফিলিয়েট মার্কেটিং। যদিও এছাড়াও বিভিন্ন মাধ্যম…
মনের ভাব প্রকাশ করতে যেমন প্রয়োজন ভাষা, তেমনি কম্পিউটের ভাষা বুঝতে দরকার প্রোগ্রামিং ভাষা। তার…
টেকনিকাল এসইও ওয়েবসাইটের র্যাঙ্কিং এবং অরগানিক ট্রাফিক বাড়াতে এর টেকনিকাল বিষয় নিয়ে কাজ করে। এর…
কোডিং এবং প্রোগ্রামিংয়ের জগতে ডিপসিক-কোডার-ভি২ একটি যুগান্তকারী মডেল হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। এটি একটি ওপেন-সোর্স মডেল…
৪০ ধরনের SEO অপ্টিমাইজেশন হলো ওয়েব পেজ র্যাঙ্ক করানোর জন্য গুগলের অ্যালগরিদমে ২০০টিরও বেশি ফ্যাক্টরের…
নির্মাণ কাজ বা কাঠের ব্যবসায়ে সঠিক পরিমাপ নিশ্চিত করতে আমাদের কাঠের হিসাব ক্যালকুলেটর একটি অত্যন্ত…