এসইও কি? কোনো ওয়েবসাইটকে গুগলের প্রথম পেজে র্যাঙ্ক করানোই SEO।
একজন এসইও এক্সপার্টের বাৎসরিক আয় কত হতে পারে? ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪ এর থেকে জানা গেছে একজন এসইও এক্সপার্ট বাৎসরিক প্রায় $৬৭,৩৮৮ ডলার আয় করে। এবং আমাদের বাংলাদেশও পিছিয়ে নেই, যদি এক বছরের কম অভিজ্ঞতা নিয়ে কাজ শুরু করেন, তাহলে গড়ে মাসে ২০,০০০ টাকা আয় করতে পারেন। অন্যদিকে, যাদের ১৫ বছরের বেশি অভিজ্ঞতা আছে, তারা মাসে প্রায় ১,৫০,০০০ টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারে। এ ছাড়া অনলাইনে অনেক প্ল্যাটফর্ম আছে যেখানে থেকে আপনি অনলাইনে আয় করতে পারবেন।
SEO [Search Engine Optimization]-এর মাধ্যমে ওয়েবসাইটকে গুগলের প্রথম পেজে প্রদর্শন করার ফলে ওয়েবসাইটের ট্রাফিক বৃদ্ধি পায় এবং ব্যবসায়িকভাবে উন্নতি করা যায়।
SEO কিভাবে ওয়েবসাইটের ভিজিবিলিটি এবং অর্গানিক ট্রাফিক বাড়াতে সাহায্য করে?
SEO-এর মাধ্যমে ওয়েবসাইট গুগলের প্রথম পেজে র্যাঙ্ক করে তাই স্বাভাবিকভাবেই ভিজিবিলিটি এবং ট্রাফিক বৃদ্ধি পায়।
SEMrush-এর তথ্য মতে, গুগলের প্রথম পেজ থেকে দ্বিতীয় পেজে ব্যবহারকারীর যাওয়ার সম্ভাবনা ১%-এর থেকেও কম।
এই Learn SEO Beginner Guideline কী কী শিখবেন:
১. মানসম্মত এবং ভালো মানের Content লেখার উপর গুরুত্ব দিতে হবে।
২. গুগলের অ্যালগরিদম অনুযায়ী Technical SEO এর উপর গুরুত্ব দিতে হবে কারণ গুগলের SGE (Search Generative Experience) দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
৩. যে বিষয়ে কনটেন্ট লেখা হবে, সে বিষয় সম্পর্কে যথেষ্ট জ্ঞান থাকতে হবে।
৪. নতুন নতুন কনটেন্ট আপলোডের থেকে আপলোডকৃত কনটেন্ট আপডেটের উপর বেশি গুরুত্ব দিতে হবে।
৫. গুগলের SEO বিষয়ক সম্পূর্ণ গাইডলাইন অনুসারে SEO করতে হবে, কারণ বর্তমান সময়ে ZCS (Zero-Click Searches)-এর পরিমাণ বাড়ছে।
এসইও (Search Engine Optimization) এমন একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে ওয়েবসাইট বা কন্টেন্টকে Google সার্চ ইঞ্জিনে Ranking Improve করা হয়।
সহজভাবে বলতে গেলে, এটি কাঙ্খিত কীওয়ার্ডের জন্য গুগলের প্রথম পেজে ওয়েবসাইটকে প্রদর্শন করানোর প্রক্রিয়া।
ধরুন, আপনি ’What is SEO?’ লিখে গুগলে সার্চ করেছেন। যদি ওয়েবসাইটে এই কীওয়ার্ড সম্পর্কিত ব্লগ পোষ্ট এবং তা এসইও অনুসারে অপটিমাইজ করা থাকে, তাহলে পেজটি গুগলের ১ম পজিশনে প্রদর্শন করবে।
এভাবেই এসইও ওয়েবসাইটে আরও ভিজিটর নিয়ে আসে এবং সাইটটি আরো জনপ্রিয় করে তোলে।
২০২২ সালে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (SEO) এর মার্কেট সাইজ ছিল USD ৬৮.২৭ বিলিয়ন ডলার এবং এটি ২০৩২ সালের মধ্যে USD ১৫৭.৪১ বিলিয়ন ডলার এর মার্কেট হতে যাচ্ছে।
যেমন Fiverr, Upwork, Guru, Truelancer, Freelancer, LinkedIn
এসইও (Search Engine Optimization) শেখার গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি কারণ রয়েছে, তারমধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো SEO ওয়েবসাইটকে একটি নির্দিষ্ট কীওয়ার্ডের জন্য গুগল সার্চ ইঞ্জিনের ফলাফলের প্রথম পৃষ্ঠায় র্যাঙ্ক করতে সাহায্য করে।
শুরুটা আমি নিজেকে দিয়েই করি আমি কেন এসইও শিখেছি?
প্রথমে আমি আমার ওয়েবসাইটে বিভিন্ন বিষয়ে অনেক লেখা-লেখি করতাম কিন্তু ওয়েবসাইটে কোনো ভিজিটর আসতো না।
একসময় এর কারণ খুঁজতে গিয়ে গুগলে অনেক রিসার্চ করে দেখতে পারলাম ওয়েবসাইটে ভিজিটর না আসার এবং র্যাঙ্ক না করার কারণ আমি সঠিকভাবে SEO করি নাই।
গুগলের গাইডলাইন অনুসরণ করে ওয়েবসাইট অপ্টিমাইজ করলে, গুগল স্বাভাবিকভাবেই ওয়েবসাইট র্যাঙ্ক করবে এবং SEO (Search Engine Optimization) করে অর্গানিকভাবে ভিজিটর পাওয়া যাবে।
যখন SEO করার মাধ্যমে ওয়েবসাইট সবসময় Google-এর ১ম পজিশনে থাকবে তখন ওয়েবসাইটটি দর্শকদের কাছে একটি বিশ্বাসযোগ্যতা পাবে এবং একটি ব্র্যান্ড হিসেবে স্বীকৃতি পাবে। গুগলে “Hamim-it” লিখে সার্চ করলে ১ম পজিশনে দেখাবে। এটিই মূলত Brand Awareness।
কস্ট ইফেক্টিভ এসইও মার্কেটিং মানে কম খরচে ওয়েবসাইটকে গুগল সার্চ ইঞ্জিনের জন্য অপ্টিমাইজ করা।
Cost Effective SEO Marketing এর মূল উদ্দেশ্য
নিস বা টার্গেটেড অডিয়েন্সের কাছে ওয়েবসাইট পৌঁছে দিয়ে এর ট্রাফিক বৃদ্ধি করা এবং সেই ট্রাফিককে ক্রেতায় পরিণত করার সম্ভাবনা বাড়ানো।
পেইড মার্কেটিংয়ের তুলনায় SEO-এর মাধ্যমে র্যাঙ্ক করলে ওয়েবসাইট দীর্ঘ সময় ট্রাফিক ধরে রাখতে এবং ব্যবহারকারীদের সামনে প্রদর্শিত হতে সাহায্য করে।
Google Search Console, Google Keyword Planner, Google Trends, Google Add Manager এবং এ ধরনের আরও অনেক টুল রয়েছে, যেগুলো ব্যবহার করে এসইও কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।
ওয়েবসাইটে যেসব ভিজিটর বা ট্রাফিক আসবে তাদের নিকট ওয়েবসাইটকে ফ্রেন্ডলি করে তুলতে হবে।
ওয়েবসাইট ব্যবহারকারীর কাছে যত বেশি ফ্রেন্ডলি হবে, ওয়েবসাইট সম্পর্কে গুগল তত বেশি পজিটিভ রিভিউ গ্যাদার করবে এবং র্যাংক করবে।
কারণ, কোনো ওয়েবসাইটের ব্যবহারকারীর প্রত্যেকটা স্টেপ গুগল ফলো করে এবং সেই অনুযায়ী র্যাংকিং করে।
ইউজার রেসপন্সিভ হওয়ার জন্য কয়েকটি বিষয়ে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া উচিত।
১. ভালো মানের কনটেন্ট তৈরি করা: ভালো মানের কন্টেন্ট তৈরি করতে হবে যাতে ব্যবহারকারী কন্টেন্টের মাঝে তার প্রয়োজনীয় সকল তথ্য পায়।
২.মোবাইল-রেসপন্সিভ ডিজাইন নিশ্চিত করা: ওয়েবসাইটটিকে মোবাইল রেসপন্সিভ করে তুলতে হবে কারণ প্রায় ৭০% ব্যবহারকারী মোবাইলের মাধ্যমে ওয়েবসাইট ভিজিট করে।
গুগল (Google) তাদের সেপ্টেম্বর ২০২৩-এর আপডেটে ওয়েবসাইট মোবাইল-ফ্রেন্ডলি ডিজাইন করার উপর বিশেষ গুরুত্ব দিতে বলেছে।
৩. আকর্ষণীয় ওয়েবসাইট ডিজাইন: ওয়েবসাইটটিকে অবশ্যই সুন্দর একটি ডিজাইনের মধ্যে নিয়ে আসতে হবে যাতে ব্যবহারকারী ওয়েবসাইটে প্রবেশ করলে আকর্ষিত হয় এবং দীর্ঘ সময় ওয়েবসাইটে অবস্থান করে।
৪. সহজ লিঙ্ক তৈরি এবং সঠিক ট্যাগের ব্যবহার: সহজভাবে লিংক বিল্ডআপ (Link Buildup), ওয়েবসাইটের হেডিং ট্যাগ (H1, H2, H3,……) এর সঠিক ব্যবহার, কীওয়ার্ডের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ Meta Title এবং Meta Description ব্যবহার করতে হবে ইত্যাদি।
ধরুন, আপনি Hamim-IT ওয়েবসাইটের “Learn SEO Beginner Guideline: ধারাবাহিক পূর্ণাঙ্গ গাইডলাইন“ এই কন্টেন্টটি পড়ছেন।
এখানে উপরে সকল গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সঠিকভাবে করা হয়েছে ফলে কনটেন্টটি উপভোগ করছেন এবং এখনও পড়ছেন।
এজন্য ওয়েবসাইট অবশ্যই ইউজার ফ্রেন্ডলি করে তুলতে হবে।
Data-Driven Insights এর মাধ্যমে ওয়েবসাইট গুগল সার্চ ইঞ্জিনে র্যাংক না হওয়ার কারণ খুঁজে বের করতে সাহায্য করে।
ওয়েবসাইট Rank না করার কিছু উল্লেখযোগ্য কারণ Data-Driven Insights এর মাধ্যমে খুঁজে বের করা যায়।
কারণগুলো হলো:
Google সার্চ ইঞ্জিন বট বা “ক্রলার” ওয়েব পেজের ডেটা সংগ্রহ করে।
ধরুন, ওয়েবসাইটে আপনি কোন পোস্ট করেছেন, তখন Google থেকে একটি বট বা ক্রলার আপনার ওয়েবপেজে পাঠাবে।
এই বট বা ক্রলার ওয়েবপেজের সব তথ্য সংগ্রহ করে Google এর কাছে জমা করে। এই তথ্যের মধ্যে রয়েছে ওয়েবপেজের টেক্সট, ছবি, লিঙ্ক, মেটাডেটা, এবং অন্যান্য বিবরণ।
এরপর, যখন কেউ কিছু লিখে গুগলে সার্চ করবে, তখন Google তার জমাকৃত তথ্য তথ্য থেকে ওয়েবসাইটের কনটেন্টের সাথে মিলে এমন পোস্ট প্রদর্শন করবে।
সুতরাং, সার্চ কুয়েরি অনুযায়ী Google সঠিক পেজগুলো প্রদর্শন করে, যাতে ব্যবহারকারী দ্রুত তাদের নির্দিষ্ট তথ্য পেতে পারে।
ইনডেক্সিং কী?
ওয়েবসাইটের পেজের সমস্ত ডেটা Google বটের মাধ্যমে সংগ্রহ করাই হলো ইনডেক্সিং।
অর্থাৎ, Google সার্চ ইঞ্জিন ওয়েবসাইটের যে পেজগুলো ক্রল (সংগ্রহ) করেছে, সেগুলোকে ইনডেক্সে জমা রাখে। এরপর যখন কেউ Google এ সার্চ করে, তখন Google তার ইনডেক্স থেকে উপযুক্ত পেজগুলো প্রদর্শন করে।
এভাবে Google-এর বট পেজের তথ্য সংগ্রহ করে ও ইনডেক্সে সংরক্ষণ করে, এবং পরবর্তীতে যাতে দ্রুত সার্চ রেজাল্টে প্রদর্শন করানো যায়।
Google সার্চ কুয়েরি অনুযায়ী উপযুক্ত ওয়েবসাইটের পেজগুলো সার্চ রেজাল্টে প্রদর্শন করে।
এটি সঠিক SEO অ্যালগরিদমের মাধ্যমে হয়, যার মাধ্যমে ইউজারের দেওয়া কীওয়ার্ডের (keyword) সঙ্গে সবচেয়ে প্রাসঙ্গিক এবং মানসম্মত ওয়েবসাইটগুলো Google তার প্রথম পেজে দেখায়।
তবে, গুগল প্রথমে সেই ওয়েবসাইটগুলো প্রদর্শন করে যেগুলোর কনটেন্ট ভালোভাবে ইউজারের প্রশ্নের সাথে মেলে।
অর্থাৎ, কন্টেন্টের মান এবং প্রাসঙ্গিকতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ যা গুগল তার সেপ্টেম্বর ২০২৩ এর আপডেটে স্পষ্ট করেছে।
Google Search Engine এর প্রধান ভূমিকা হলো ব্যবহারকারীদের প্রাসঙ্গিক ও মানসম্মত তথ্য প্রদান করা।
এর জন্য, Google সার্চ ইঞ্জিন তার নিজস্ব 218+ টি শক্তিশালী SEO অ্যালগরিদম ব্যবহার করে, যা নির্ধারণ করে কোন পেজটি ব্যবহারকারীর সার্চ করা কিওয়ার্ডের সাথে সবচেয়ে প্রাসঙ্গিক এবং ভালোভাবে মেলে।
এই অ্যালগরিদমের মাধ্যমে Google বা Bing বা Yahoo বা অন্যান্য সার্চ ইঞ্জিন ব্যবহারকারীদের সঠিক তথ্য পেতে সাহায্য করে।
SEO-কে বিভিন্ন প্রকারে ভাগ করা যায়, তার মধ্যে প্রধান ভাগ ৩টি।
অন-পেজ এসইও হলো ওয়েবসাইটের ভেতরের অপটিমাইজেশন এর কাজ।
এর মাধ্যমে ওয়েবসাইটের কন্টেন্ট এবং গঠনকে সার্চ ইঞ্জিন এবং ব্যবহারকারীদের জন্য আরও কার্যকর করা হয়।
গুরুত্বপূর্ণ উপাদানগুলো হলো:
এটি ওয়েবসাইটের বাহিরে করা কার্যক্রম নিয়ে কাজ করে যা ভিজিবিলিটি বাড়াতে সাহায্য করে।
যেমন: ব্যাকলিঙ্ক (Backlink): Do Follow Link*, No Follow Link তৈরি, সোশ্যাল সিগন্যাল (Social Signal), Citation, এবং ব্র্যান্ড মেনশন।
এটি ওয়েবসাইটের টেকনিক্যাল দিক নিয়ে কাজ করে
লোকাল এসইও (Local SEO) হল একটি Digital Marketing কৌশল যা আপনার ব্যবসাকে আপনার স্থানীয় এলাকায় গ্রাহকদের সামনে প্রদর্শিত হতে সাহায্য করে।
SEO হতে পারে পেইড মার্কেটিং (Paid marketing) এর মাধ্যমে ট্রাফিক পাওয়ার বিকল্প মাধ্যম।
যেহেতু পেইড মার্কেটিং অনেক ব্যয়বহুল, তাই এর বিকল্প হিসেবে অর্গানিকভাবে ট্রাফিক পাওয়ার জন্য SEO খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
Google-এর অ্যালগরিদম (Google Algorithm) অনুযায়ী সঠিকভাবে SEO করে সহজেই Google-এর ১ম পৃষ্ঠায় আসা যায়।
সঠিকভাবে SEO করার মাধ্যমে ওয়েবসাইটে অর্গানিকভাবে ট্রাফিক বা ভিজিটর বাড়বে এবং Google-এর ১ম পৃষ্ঠায় ওয়েবসাইটটি আসবে ফলে ওয়েবসাইটটি সবার কাছে বিশ্বাসযোগ্য হয়ে উঠবে এবং Brand Trust Value বৃদ্ধি পাবে ।
যেহেতু SEO-এর মাধ্যমে অর্গানিকভাবে ট্রাফিক বৃদ্ধি এবং Google-এ র্যাঙ্ক (Rank) করা যায়, সেহেতু ওয়েবসাইট র্যাঙ্ক করানোর জন্য পেইড বিজ্ঞাপনের (Add) পেছনে টাকা খরচ করতে হবে না। ফলে বিজ্ঞাপনের খরচ কমে যাবে এবং ওয়েবসাইটটি Google-এ দীর্ঘ সময় ধরে র্যাঙ্ক (Rank) করবে।
লোকাল এসইও (Local SEO) হল একটি Digital Marketing কৌশল যা আপনার ব্যবসাকে স্থানীয় গ্রাহকদের সামনে প্রদর্শিত হতে সাহায্য করে।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইটকে র্যাঙ্ক করতে এবং ট্রাফিক বাড়াতে SEO করতে হবে।
বিভিন্ন ধরনের কনটেন্ট (যেমন: ব্লগ), প্রোডাক্ট পেজ এবং ল্যান্ডিং পেজের জন্য বিভিন্ন এসইও কৌশল প্রয়োজন।
এটি কনটেন্টের উপর নির্ভর করে, তবে সাধারণত ১০০০ থেকে ২৫০০ শব্দের মধ্যে কনটেন্ট লেখা উত্তম।
ব্যবহারকারীদের প্রশ্নের উত্তর দিয়ে সহায়তা করে এবং কনটেন্টের মান বৃদ্ধি করে।
ই-কমার্স বা বিজনেস ওয়েবসাইটে অর্গানিকভাবে ট্রাফিক বৃদ্ধি এবং সেই ট্রাফিককে ক্রেতায় পরিণত করার জন্য SEO করতে হবে।
সার্ভিস-ভিত্তিক ওয়েবসাইটে (যেমন: ডিজিটাল মার্কেটিং এজেন্সি, হোম সার্ভিস প্রোভাইড, স্বাস্থ্যসেবা সংক্রান্ত তথ্য বা চিকিৎসা, শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ সেবা) অর্গানিক ট্রাফিক বাড়াতে চাইলে এবং তাদেরকে সেবা গ্রহণে উৎসাহিত করতে চাওয়ালে SEO করতে হবে।
ফ্রিল্যান্সিং এবং Dropshipping Business: ক্লায়েন্টের জন্য ওয়েবসাইট অপ্টিমাইজেশনে
ফ্রিল্যান্সিং বা ড্রপশিপিং ব্যবসা (Dropshipping Business) কিছুটা ই-কমার্স বা অনলাইন ব্যবসার মতো। বর্তমান সময়ে বাংলাদেশে ড্রপশিপিং ব্যবসা খুব দ্রুত গতিতে বাড়ছে।
এখন, ড্রপশিপিং ব্যবসা কি?
ধরুন আপনি কোনো অনলাইন মার্কেটপ্লেস থেকে কোনো পণ্য নিয়ে আপনার নিজস্ব অনলাইন স্টোরের মাধ্যমে সেল করে দেন।
বিনিময়ে সেই মার্কেটপ্লেস আপনাকে বিক্রিত পণ্যের জন্য একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ কমিশন (Commission) দিয়ে থাকে। এটাই মূলত ড্রপশিপিং ব্যবসা (Dropshipping Business)।
এক্ষেত্রে ড্রপশিপিং ব্যবসার মাধ্যমে আপনার পণ্য বিক্রির জন্য আপনার ওয়েবসাইটে অর্গানিক ট্রাফিক বৃদ্ধি করতে হবে। সেক্ষেত্রে আপনার ওয়েবসাইটের জন্য SEO করতে হবে।
সাইট অডিটের মাধ্যমে ওয়েবসাইটের Health যাচাই করা খুবই প্রয়োজন। এর মাধ্যমে আপনি বুঝতে পারবেন ওয়েবসাইট বর্তমানে কোন অবস্থায় রয়েছে এবং কোন কোন বিষয় Improve করা প্রয়োজন।
ওয়েবসাইটের SEO Health যাচাইয়ের জন্য বিভিন্ন টুলস রয়েছে, যেগুলোর মাধ্যমে নিম্নলিখিত বিষয়গুলো সম্পর্কে জানতে পারা যায়
এই বিষয়গুলো বিশ্লেষণ করে সহজেই বুঝতে পারা যায় Website-এর কোথায় Improve করা প্রয়োজন।
কীওয়ার্ড স্টাফিং: র্যাঙ্কিংয়ের জন্য অস্বাভাবিকভাবে কীওয়ার্ডের ব্যবহার।
অর্থাৎ, গুগলে র্যাঙ্ক করার জন্য কন্টেন্টে একটি নির্দিষ্ট কীওয়ার্ড অস্বাভাবিকভাবে বার বার ব্যবহার করা, যা ওয়েবসাইটের জন্য অপ্রীতিকর বা ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতা নষ্ট করে, সেটিকেই কীওয়ার্ড স্টাফিং বলা হয়।
এটি ওয়েবসাইটের ওপর Bad Impression তৈরি করার পাশাপাশি User Experience নষ্ট করে এবং গুগলের চোখে এটি SPAM হিসেবে বিবেচিত হয়, ফলে গুগল সেই ওয়েবসাইটকে পেনালাইজ করে।
কম্পিটিটর অ্যানালাইসিসের অভাব: SEO এর জন্য কম্পিটিটর অ্যানালাইসিস (Competitor Analysis) করা খুবই প্রয়োজন।
কারণ যারা গুগলের প্রথম পেজে আছে, তারা আপনার কম্পিটিটর এবং তাদের পেছনে ফেলতে হলে, অবশ্যই সেই কম্পিটিটরদের অ্যানালাইসিস আরো ভালো কীওয়ার্ড খুঁজে বের করতে হবে এবং তাদের থেকে ভালো কন্টেন্ট Publish করতে হবে।
গুগল অ্যানালিটিক্স এর মাধ্যমে অর্গানিক ট্রাফিক ট্র্যাকিং করা
ওয়েবসাইটের ডোমেইন অথরিটি (Domain Authority) এবং পেজ অথরিটি (Page Authority) যাচাই করা (MOZ, SEMrush বা Ahrefs ব্যবহার করে)
ওয়েবসাইটের বাউন্স রেট (Bounce Rate) এবং CTR (Click Through Rate) চেক করা
সার্চ কনসোল (Search Console) রিপোর্টের মাধ্যমে ওয়েবসাইটের ইমপ্রেশন এবং ক্লিক থ্রু রেট (CTR) চেক করা
SEO Expert রা ওয়েবসাইট গুগলে র্যাঙ্ক করানোর পদ্ধতিকে ২টি ভাগে ভাগ করেছেন।
SEO-এর জন্য গুগল (Google) যেসব অ্যালগরিদম, নিয়ম এবং নির্দেশনা দিয়েছে, সেই নিয়ম এবং নির্দেশনা অনুযায়ী SEO করাকে White Hat SEO বলা হয়।
এতে গুগলে (Google) ওয়েবসাইট খুব দ্রুত র্যাঙ্ক (Rank) হয়।
এক কথায়, গুগলের স্ট্র্যাটেজি (Google Strategy) ফলো করাই হলো হোয়াইট হ্যাট এসইও )White Hat SEO)
Black Hat শব্দটি শুনেই আমরা বুঝতে পারি যে বেআইনিভাবে কাজ করা।
Black Hat SEO-এর ক্ষেত্রেও একই বিষয় অর্থাৎ গুগলের অ্যালগরিদম (Google Algorithm) বা নির্দেশনা ভঙ্গ করে বেআইনিভাবে ওয়েবসাইটকে র্যাঙ্ক করাতে চাওয়া।
গুগলের (Google) প্রতিটি অ্যালগরিদম অনুসরণ করে কোনো ওয়েবসাইট র্যাঙ্ক (Rank) করানো কিছুটা কষ্টসাধ্য এবং সময়ের ব্যাপার, তাই অনেকেই খুব অল্প সময়ের মধ্যে ওয়েবসাইটকে গুগলে র্যাঙ্ক (Google Ranking) করানোর জন্য Black Hat SEO পদ্ধতি ব্যবহার করে থাকে।
গুগল (Google) যেহেতু কোনো ওয়েবসাইটের ব্যাকলিংকের (Backlink) সংখ্যা বেশি থাকলে সেটিকে ভালো চোখে দেখে, তাই এক্ষেত্রে Black Hat SEO বিশেষজ্ঞরা কিছু 3rd party অ্যাপ ব্যবহার করে এবং Black Hat-এর উদ্দেশ্যে বানানো বিভিন্ন ওয়েবসাইট থেকে টাকার বিনিময়ে প্রচুর পরিমাণে ব্যাকলিঙ্ক (Backlink) Collect করে থাকে।
গুগলের ১৫ আগস্ট, ২০২৪-এর সর্বশেষ আপডেটে বলা হয়েছে তারা এইসব ওয়েবসাইট খুঁজে বের করার জন্য কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। গুগল কোনোভাবে এই ধরনের ওয়েবসাইট চিহ্নিত করতে পারলে সরাসরি পেনাল্টি দিয়ে দেবে।
এখানে উল্লেখকৃত সবগুলো টুলস আপনি Limited Free Version ব্যবহার করতে পারবেন। Limit শেষ হয়ে গেলে অল্প কিছু ক্রেডিটের মাধ্যমে আপনি এসব টুলসগুলোর Unlimited Free Access পেয়ে যাবেন।
YouTube Channel: এখানে কিছু ইউটিউব চ্যানেলের নাম দেওয়া হলো, যেখান থেকে আপনি খুব সহজে SEO শিখতে পারবেন Neil Patel, Brian Dean, এবং Moz.
ফ্রি কোর্স প্ল্যাটফর্ম: এখানে কিছু ফ্রি কোর্স প্ল্যাটফর্ম এর নাম দেওয়া হলো, যেখান থেকে আপনি খুব সহজে SEO শিখতে পারবেন HubSpot Academy, Coursera.
ব্লগ এবং ফোরাম: এখানে কিছু ব্লগ এবং ফোরাম চ্যানেলের নাম দেওয়া হলো, যেখান থেকে আপনি খুব সহজে SEO শিখতে পারবেন Hamim-IT, Backlinko, Ahrefs Blog, Reddit SEO Forum.
এসইও হলো একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া যা ওয়েবসাইটের গুণগত মান এবং ভিজিবিলিটি বৃদ্ধি করে। এটি ব্যবহার করে আপনি আপনার ওয়েবসাইটে অর্গানিক ট্রাফিক বৃদ্ধি করতে পারেন। যার ফলে ব্যবসায়িক সুযোগও বৃদ্ধি পায়।
সঠিক কৌশল এবং প্রক্রিয়া অনুসরণ করে এসইও করা হলে আপনার ওয়েবসাইট গুগল সার্চ ইঞ্জিনের (Google Search Engine) ফলাফলে উচ্চতর স্থানে অবস্থান করতে পারবে, ইনশাআল্লাহ্।
উত্তর: SEO করার মাধ্যমে ওয়েবসাইটকে গুগলের প্রথম পেজে র্যাঙ্ক করিয়ে সহজেই লাভবান হওয়া যায়।
এছাড়াও, অনলাইনে বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসে ফ্রিল্যান্সিং করে আয় করতে পারবেন কিংবা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে SEO এক্সপার্ট হিসেবে চাকরির মাধ্যমে আয় করতে পারবেন।
উত্তর: SEO মূলত ৩টি ধাপে কাজ করে
উত্তর: SEO করার জন্য এই টুলগুলো অত্যন্ত প্রয়োজনীয়: Google Keyword Planner, Google Search Suggestions, Google Trends, Ubersuggest, SEMrush, Ahrefs, Yoast SEO (WordPress), Screaming Frog.
উত্তর: SEO শিখতে কত সময় লাগবে এটি বলা কঠিন, কারণ কোনো কিছু শেখা নিজের উপর নির্ভর করে। যদি সঠিক নিয়মে এবং সঠিকভাবে পরিশ্রম করলে অল্প সময়েই SEO শিখা যায়। তবে গুগল যেহেতু কিছুদিন পরপর SEO-এর বিভিন্ন বিষয়ে আপডেট আনে এবং স্ট্র্যাটেজি পরিবর্তন করে, তাই এই বিষয়ে যথাযথ ধারণা রাখতে হবে।
উত্তর: এসইও (SEO) হলো অর্গানিক সার্চ রেজাল্টে ওয়েবসাইটের র্যাংকিং বৃদ্ধি করা, যেখানে পিপিসি (Pay-Per-Click) হলো অর্থ প্রদান করে সার্চ ইঞ্জিনে বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করা। এসইও (SEO) তে অর্গানিক ট্রাফিক বৃদ্ধি পায়, আর পিপিসি তে বিজ্ঞাপন বাবদ টাকা খরচ হয়।
উত্তর: নতুন ওয়েবসাইটের জন্য এসইও (SEO) গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটি অর্গানিক ট্রাফিক বৃদ্ধি করে। এর মাধ্যমে ওয়েবসাইট দ্রুত জনপ্রিয় হতে পারে এবং ব্যবহারকারীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারে।
উত্তর: এসইও (SEO) এর ফলাফল দেখতে সাধারণত কয়েক মাস সময় লাগে। এটি নির্ভর করে ওয়েবসাইটের গুণগত মান, প্রতিযোগিতা, এবং কিওয়ার্ডের উপর। তবে নিয়মিত অপ্টিমাইজেশন করলে দীর্ঘমেয়াদী ফলাফল পাওয়া যায়।
উত্তর: একজন ব্যবসায়ী অনলাইনে তার পণ্যের বিক্রয় বৃদ্ধি করতে চাইলে তার ওয়েবসাইট গুগলে র্যাঙ্ক করাতে হবে, যার জন্য তাকে SEO শিখতে হবে।
উত্তর: ডিজিটাল মার্কেটার (Digital Marketer) হিসেবে অনলাইনে কোনো গ্রাহককে (Client) সেবা প্রদান করতে চাইলে বা গ্রাহকের ওয়েবসাইট গুগলে র্যাঙ্ক (Google Ranking) করাতে চাইলে অবশ্যই খুব ভালোভাবে SEO শিখতে হবে।
উত্তর: ভালো র্যাঙ্কিং পাওয়ার পরেও অবশ্যই SEO চালিয়ে যেতে হবে, কারণ আপনার প্রতিযোগীরা সবসময় চাইবে আপনাকে পেছনে ফেলে তাদের ওয়েবসাইট র্যাঙ্ক করাতে।
গুগল প্রায়ই তার অ্যালগরিদম আপডেট করে, এবং এই পরিবর্তনগুলির সাথে আপডেট থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
উদাহরণ:
আমাদের কেস স্টাডি coming soon…!
অনলাইনে আয়ের অন্যতম প্রধান উৎস হল গুগল এডসেন্স ও এফিলিয়েট মার্কেটিং। যদিও এছাড়াও বিভিন্ন মাধ্যম…
মনের ভাব প্রকাশ করতে যেমন প্রয়োজন ভাষা, তেমনি কম্পিউটের ভাষা বুঝতে দরকার প্রোগ্রামিং ভাষা। তার…
টেকনিকাল এসইও ওয়েবসাইটের র্যাঙ্কিং এবং অরগানিক ট্রাফিক বাড়াতে এর টেকনিকাল বিষয় নিয়ে কাজ করে। এর…
কোডিং এবং প্রোগ্রামিংয়ের জগতে ডিপসিক-কোডার-ভি২ একটি যুগান্তকারী মডেল হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। এটি একটি ওপেন-সোর্স মডেল…
৪০ ধরনের SEO অপ্টিমাইজেশন হলো ওয়েব পেজ র্যাঙ্ক করানোর জন্য গুগলের অ্যালগরিদমে ২০০টিরও বেশি ফ্যাক্টরের…
নির্মাণ কাজ বা কাঠের ব্যবসায়ে সঠিক পরিমাপ নিশ্চিত করতে আমাদের কাঠের হিসাব ক্যালকুলেটর একটি অত্যন্ত…
View Comments
Yes,গুগল প্রায়ই তার অ্যালগরিদম আপডেট করে, এবং এই পরিবর্তনগুলির সাথে আপডেট থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
Rajshahi university
excellent post
"A very informative read! Online learning has made education more accessible, but I agree that traditional classroom interactions have their benefits. A hybrid approach might be the best way forward. What are your thoughts on how AI can enhance online education?"
রাজশাহী সরকারি সিটি কলেজ