এসইও (সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন) হলো ওয়েবসাইটের র্যাঙ্ক বৃদ্ধি করার প্রক্রিয়া। SEO মূলত ৩ প্রকারঃ অন-পেইজ এসইও, অফ-পেইজ এসইও, টেকনিক্যাল এসইও।
তবে কাজের ধরন, কৌশল, মার্কেটিং স্ট্রাটিজি অনুযায়ী এর প্রকারভেদ ভিন্নরকমের হয়ে থাকে। এইসব প্রকারভেদ নিয়ে এই গাইডে আলোচনা করা হয়েছে।
কাজের ধরন অনুযায়ী ৩ প্রকার।
অন-পেজ এসইও হলো ওয়েবসাইটের ভেতরের অপটিমাইজেশন এর কাজ।
এর মাধ্যমে ওয়েবসাইটের কন্টেন্ট এবং গঠনকে সার্চ ইঞ্জিন এবং ব্যবহারকারীদের জন্য আরও কার্যকর করা হয়।
অফ-পেইজ এসইও ওয়েবসাইটের বাহিরে করা কার্যক্রম নিয়ে কাজ করে যা ভিজিবিলিটি বাড়াতে সাহায্য করে।
যেমন: ব্যাকলিঙ্ক (Do Follow Link*, No Follow Link) তৈরি, সোশ্যাল সিগন্যাল (Social Signal), Citation, এবং ব্র্যান্ড মেনশন।
এসইও এর এই অংশে ব্যাকলিঙ্ক বিল্ডআপ করা ওয়েবসাইট র্যাঙ্কিং এর জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
এটি ওয়েবসাইটের টেকনিক্যাল দিক নিয়ে কাজ করে। যেমনঃ সাইটের লোডিং স্পিড, মোবাইল ফ্রেন্ডলি ডিজাইন, HTTPS প্রোটোকল ব্যবহার, XML সাইটম্যাপ তৈরি, Robots.txt ফাইল তৈরি ইত্যাদি।
SEO-এর জন্য গুগল বা অন্যান্য সার্চ ইঞ্জিন যেসব অ্যালগরিদম, নিয়ম এবং নির্দেশনা দিয়েছে, সেই নিয়ম এবং নির্দেশনা অনুযায়ী SEO করাকে White Hat SEO বলা হয়।
এতে গুগলে (Google)-এ বা সার্চ ইঞ্জিনে ওয়েবসাইট খুব দ্রুত র্যাঙ্ক (Rank) হয় এবং অর্গানিকভাবে ট্রাফিক বৃদ্ধি পায়।
এক কথায়, গুগলের স্ট্র্যাটেজি (Google Strategy) ফলো করাই হলো হোয়াইট হ্যাট এসইও (White Hat SEO)
Black Hat শব্দটি শুনেই যে শব্দটি মাথায় আসে তা হলো বেআইনিভাবে কোন কিছুর এক্সেস নেয়া।
Black Hat SEO-এর ক্ষেত্রেও একই বিষয় অর্থাৎ গুগলের বা অন্যান্য সার্চ ইঞ্জিনের অ্যালগরিদম বা নির্দেশনা ভঙ্গ করে বেআইনিভাবে ওয়েবসাইটকে র্যাঙ্ক করাতে চাওয়া।
সার্চ ইঞ্জিনের প্রতিটি অ্যালগরিদম অনুসরণ করে কোনো ওয়েবসাইট র্যাঙ্ক (Rank) করানো কিছুটা কষ্টসাধ্য এবং সময়ের ব্যাপার, তাই অনেকেই খুব অল্প সময়ের মধ্যে ওয়েবসাইটকে র্যাঙ্ক করানোর জন্য Black Hat SEO পদ্ধতি ব্যবহার করে থাকে।
গুগল (Google) যেহেতু কোনো ওয়েবসাইটের ব্যাকলিংকের (Backlink) সংখ্যা বেশি থাকলে সেটিকে ভালো চোখে দেখে, তাই এক্ষেত্রে Black Hat SEO যারা করে তারা কিছু 3rd party অ্যাপ ব্যবহার করে এবং Black Hat SEO-এর উদ্দেশ্যে বানানো বিভিন্ন ওয়েবসাইট থেকে টাকার বিনিময়ে প্রচুর পরিমাণে ব্যাকলিঙ্ক (Backlink) কালেক্ট করে থাকে।
গুগলের ১৫ আগস্ট, ২০২৪-এর সর্বশেষ আপডেটে বলা হয়েছে “তারা এইসব ওয়েবসাইট খুঁজে বের করার জন্য কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। গুগল কোনোভাবে এই ধরনের ওয়েবসাইট চিহ্নিত করতে পারলে সরাসরি পেনাল্টি দিয়ে দেবে।”
এটি সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের এমন একটি কৌশল যেখানে দ্রুত র্যাঙ্ক বা ট্রাফিক বৃদ্ধি করার জন্য এমন কিছু কৌশল ব্যবহার করে যেখানে সম্পূর্ণরুপে সার্চ ইঞ্জিনের নিয়মকানন অনুসরণও করে না আবার ভঙ্গও করে না।
কন্টেন্ট এসইও বলতে বুঝানো হয়েছে এমন কন্টেন্ট তৈরি করতে হবে যা এসইও ফ্রেন্ডলি হতে হবে এবং ব্যবহারকারীদের জন্য পর্যাপ্ত তথ্য থাকে।
ব্র্যান্ডিং এসইও এমন একটি কৌশল যেখানে ব্র্যান্ডের নামকে সার্চ ইঞ্জিনে র্যাঙ্ক করতে কাজ করে। এর মাধ্যমে ব্র্যান্ডের ট্রাস্ট ভেল্যু এবং অর্গানিক ট্রাফিক বৃদ্ধি পায়।
ভিডিও এসইও হলো ভিডিও কনটেন্টকে সার্চ ইঞ্জিনে র্যাঙ্ক করার প্রক্রিয়া। এতে টাইটেল, ডেসক্রিপশন, এবং কিওয়ার্ড অপ্টিমাইজেশন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
এছাড়া ইউটিউব এবং অন্যান্য ভিডিও প্ল্যাটফর্মে অর্গানিক ট্রাফিক এবং ভিউ বাড়ানোর জন্য এটি কাজ করে।
মোবাইল এসইও হলো মোবাইল ব্যবহারকারীদের জন্য ওয়েবসাইটকে অপ্টিমাইজ করা।
এর মধ্যে রয়েছে মোবাইল-ফ্রেন্ডলি ডিজাইন, পেজ লোড টাইম কমানো ইত্যাদি।
ই-কমার্স এসইও হলো ই-কমার্স সাইটের পণ্য ও ক্যাটাগরি পেজগুলিকে সার্চ ইঞ্জিনে র্যাংক করার প্রক্রিয়া।
লোকাল এসইও হলো নির্দিষ্ট ভৌগোলিক এলাকার ব্যবহারকারীদের জন্য ব্যবসার ভিজিবিলিটি বাড়ানোর কৌশল। এটি গুগল মাই বিজনেস অপ্টিমাইজেশন, স্থানীয় কিওয়ার্ড ব্যবহার, এবং রিভিউ ম্যানেজমেন্টের মাধ্যমে স্থানীয় ট্রাফিক বৃদ্ধি করে।
ইন্টারন্যাশনাল এসইও হলো এমন একটি কৌশল, যা বিভিন্ন দেশের ভাষা, সংস্কৃতি, এবং সার্চ ইঞ্জিন ব্যবহারের প্যাটার্ন অনুযায়ী ওয়েবসাইট অপ্টিমাইজ করে। এর মাধ্যমে অন্য দেশে থাকা ব্যবহারকারীদের জন্য কন্টেন্টকে আরও প্রাসঙ্গিক করা হয়।
বহুভাষিক এসইও হলো বিভিন্ন ভাষায় কন্টেন্ট অপ্টিমাইজ করে অন্যান্য ভাষার ব্যবহারকারীদের জন্য সার্চ ইঞ্জিনে দৃশ্যমান করার প্রক্রিয়া। এতে স্থানীয় কিওয়ার্ড এবং hreflang ট্যাগ ব্যবহার করা হয়।
একই সঙ্গে যে দেশের জন্য কন্টেন্ট অপটিমাইজ করা হবে সে দেশের সংস্কৃতি সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকা জরুরী।
আউটসোর্সিং কী? একটি সহজ ধারাবাহিক পূর্ণাঙ্গ গাইড
ফ্রিল্যান্সিং কী? কোথায় এবং কিভাবে শুরু করবেন?
ইমেজ SEO কী এবং কিভাবে করা হয়?
এসইও (SEO) শেখার জন্য কি কি জানা প্রয়োজন?
অনলাইনে আয়ের অন্যতম প্রধান উৎস হল গুগল এডসেন্স ও এফিলিয়েট মার্কেটিং। যদিও এছাড়াও বিভিন্ন মাধ্যম…
মনের ভাব প্রকাশ করতে যেমন প্রয়োজন ভাষা, তেমনি কম্পিউটের ভাষা বুঝতে দরকার প্রোগ্রামিং ভাষা। তার…
টেকনিকাল এসইও ওয়েবসাইটের র্যাঙ্কিং এবং অরগানিক ট্রাফিক বাড়াতে এর টেকনিকাল বিষয় নিয়ে কাজ করে। এর…
কোডিং এবং প্রোগ্রামিংয়ের জগতে ডিপসিক-কোডার-ভি২ একটি যুগান্তকারী মডেল হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। এটি একটি ওপেন-সোর্স মডেল…
৪০ ধরনের SEO অপ্টিমাইজেশন হলো ওয়েব পেজ র্যাঙ্ক করানোর জন্য গুগলের অ্যালগরিদমে ২০০টিরও বেশি ফ্যাক্টরের…
নির্মাণ কাজ বা কাঠের ব্যবসায়ে সঠিক পরিমাপ নিশ্চিত করতে আমাদের কাঠের হিসাব ক্যালকুলেটর একটি অত্যন্ত…