এসইও (সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন) শেখার জন্য কিছু বিষয়ে ধারণা এবং জ্ঞান থাকতে হবে যার মাধ্যমে সহজেই ওয়েবসাইটকে সার্চ ইঞ্জিনের প্রথম পেজে র্যাঙ্ক করানো যাবে।
বর্তমানের এই ডিজিটাল সময়ে এসে Digital Marketing-কে পেশা হিসেবে বেছে নিতে চাইলে এসইও-এর গুরুত্ব অনেক বেশি।
এসইও (SEO) শেখার জন্য কি কি জানা প্রয়োজন? এই বিষয় সম্পর্কে এখানে বিস্তারিত ধারণা দেওয়া হয়েছে।
সার্চ ইঞ্জিন একটি সফটওয়্যার সিস্টেম যেখানে ব্যবহারকারী তার নির্দিষ্ট তথ্য খুঁজার জন্য এটি ব্যবহার করে থাকে। সার্চ ইঞ্জিন কয়েকটি বিষয় নিয়ে কাজ করে:
এসইও শেখার জন্য কয়েকটি বিষয় সম্পর্কে বিশেষভাবে ধারণা থাকতে হবে যাতে সহজেই ওয়েবসাইটকে সার্চ ইঞ্জিনের প্রথম পেজে র্যাঙ্ক করানো যায় এবং এর মাধ্যমে সহজেই ডিজিটাল মার্কেটিং পেশায় সাফল্য অর্জন করা যায়।
এসইও শেখার জন্য যেসব বিষয় সম্পর্কে ধারণা থাকতে হবে তার আলোচনা করা হলো।
ওয়েবসাইটের তথ্য রক্ষণাবেক্ষণ এবং ব্যবহারকারীদের চাহিদা পূরণের প্রক্রিয়াই সার্ভার ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম।
যেভাবে সার্ভার ম্যানেজমেন্ট কাজ করে:
এসইও শেখার জন্য Coding এর ওপর মোটামুটি ধারণা থাকতে হবে। প্রথমে ধারণা না থাকলে পরবর্তীতে ধারণা নিতে হবে কারণ কোডিং জানা থাকলে টেকনিক্যাল এসইও এর ছোট খাটো সমস্যা নিজে নিজেই সলভ করে ফেলা যায়, ওয়েব ডেভেলপারদের জন্য অপেক্ষা করতে হয় না।
এ ক্ষেত্রে যেসব ভাষার কোডিং সম্পর্কে ধারণা থাকতে হবে:
যেহেতু Keyword Research এসইও এর একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ, তাই এর সম্পর্কে মোটামুটি ভালো একটি ধারণা থাকতে হবে। ওয়েবসাইটের কনটেন্ট সম্পর্কিত কোন কীওয়ার্ডগুলো দিয়ে ব্যবহারকারীরা সার্চ করে তা সম্পর্কে কীওয়ার্ড রিসার্চ এর মাধ্যমে ধারণা পাওয়া যায়।
কীওয়ার্ড রিসার্চ এর ক্ষেত্রে কিছু টুলস ব্যবহার করা হয় যার মাধ্যমে সঠিক কীওয়ার্ড খোঁজা এবং অপ্টিমাইজ করা যায় (যেমন: Google Trends, Google Analytics, Google Search Console, SEMrush, Ahrefs, Ubersuggest ইত্যাদি)।
এসইও তে ভালো ফলাফল পেতে মানসম্মত কনটেন্ট তৈরি করা জানতে হবে কারণ এটি এসইও এর একটি অপরিহার্য অংশ। Backlink পাওয়ার জন্য গেস্ট পোস্টিং এর ক্ষেত্রে কনটেন্ট একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
মানসম্মত কনটেন্ট লেখার ক্ষেত্রে কিছু বিষয়ের গুরুত্ব দিতে হবে:
এসইও করার জন্য বিভিন্ন টুলস ব্যবহার করা হয়, এজন্য টুলস সম্পর্কে ধারণা থাকতে হবে। এই টুলসগুলি কীওয়ার্ড রিসার্চ, কনটেন্ট অপটিমাইজেশন, ব্যাকলিঙ্ক বিশ্লেষণ, এবং র্যাংকিং সহজ করে তোলে।
কম্পিটিটর বিশ্লেষণ করা এসইও এর একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। সার্চ ইঞ্জিনের প্রথম পেজে যারা আছে, তাদের প্রতিযোগী হিসেবে বিবেচনা করে তারা কোন কোন কারণে বা কোন কীওয়ার্ডের জন্য র্যাঙ্ক করেছে তা বিশ্লেষণ করতে হবে এবং সে অনুযায়ী নিজের ওয়েবসাইটটি অপ্টিমাইজ করতে হবে।
নিয়মিত সাইট অডিট করতে হবে কারণ এর মাধ্যমে ওয়েবসাইটের Health সম্পর্কে জানা যায় এবং সে অনুযায়ী ওয়েবসাইট Improve করা যায়। সাইট অডিটের মাধ্যমে বেশ কয়েকটি বিষয় সম্পর্কে জানা যায়:
User Experience এবং Site Speed সম্পর্কে ধারণা থাকতে হবে কারণ ওয়েবসাইট হতে হবে ইউজার ফ্রেন্ডলি এবং এর পেজ দ্রুত লোড হতে হবে। তবেই ব্যবহারকারী বেশি সময় ওয়েবসাইটে অবস্থান করবে এবং সার্চ ইঞ্জিনে র্যাঙ্ক করবে।
এসইও শিখতে হলে ফরকাস্টিং সম্পর্কে ধারণা থাকতে হবে কারণ পূর্বে যেসব বিষয়ে এসইও করা হয়েছে সেসব বিষয়ে কী ফলাফল এসেছে তা এনালাইসিস করে পরবর্তীতে কী হতে পারে তার সম্ভাব্য একটি ধারণা বের করে সে অনুযায়ী এসইও চালিয়ে যেতে হবে।
সার্চ ইঞ্জিন অ্যালগরিদম এবং এর আপডেট সম্পর্কে ধারণা থাকতে হবে কারণ সার্চ ইঞ্জিন বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন বিষয়ে পরিবর্তন আনে, যেগুলো এসইও-এর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। Google-এর আপডেটগুলো হলো:
এছাড়াও, Google তার নিজস্ব ২১৮+ টি অ্যালগরিদম নিয়ে কাজ করে, যার সম্পর্কে ধারণা থাকলে এসইও-তে খুব ভালো ফলাফল পাওয়া যাবে।
International কোনো ওয়েবসাইট বা Niche নিয়ে কাজ করতে চাইলে এর সম্পর্কে ধারণা থাকতে হবে। যে Country বা নিস নিয়ে কাজ করা হবে, সে অনুযায়ী ওয়েবসাইট অপ্টিমাইজ করতে হবে এবং ওয়েবসাইটটি যে বিষয়ে, সে বিষয় সম্পর্কে ধারণা থাকতে হবে।
কোনো Client-এর ওয়েবসাইটে এসইও করলে বা কোথাও Job করলে অবশ্যই রিপোর্ট জমা দিতে হবে।
এসইও-এর মাধ্যমে:
এইসব বিষয় ক্লায়েন্টদের রিপোর্ট আকারে জানাতে হবে।
এসইও শিখতে কয়েকমাস সময় লাগতে পারে, যেহেতু প্রায়ই নতুন নতুন আপডেট আসে। তাই এর সম্পর্কে যত বেশি সময় ধরে শেখা যাবে, তত ভালোভাবে এসইও করা যাবে।
একটি কম্পিউটার এবং ইন্টারনেট সংযোগ থাকলেই এসইও শেখা শুরু করা যায়।
এসইও শেখার জন্য মোটামুটি কনফিগারেশনের কম্পিউটার থাকলে চলবে, যেখানে ওয়েবসাইট ভালোভাবে ব্রাউজ করা যাবে এবং এসইও এর জন্য প্রয়োজনীয় টুলস বা সফটওয়্যার ব্যবহার করা যাবে।
মোবাইল দিয়ে এসইও সম্পর্কিত Basic ধারণা নেওয়া যাবে বা কিছু এসইও টুলস ব্যবহার করা যাবে, তবে কিছু সীমাবদ্ধতা থাকবে। পূর্ণাঙ্গ SEO-এর জন্য কম্পিউটার বা ল্যাপটপ প্রয়োজন হবে।
এসইও (SEO) এর প্রধান অংশগুলো হলো: অন-পেজ এসইও, অফ-পেজ এসইও, টেকনিক্যাল এসইও, কনটেন্ট মার্কেটিং।
এসইও এর ভবিষ্যৎ বা ক্যারিয়ার খুবই উজ্জ্বল, কারণ বর্তমানে সবাই Digital Marketing এর দিকে ঝুঁকছে এবং এর জন্য অবশ্যই ওয়েবসাইটের এসইও প্রয়োজন। এছাড়া, SEO Specialist দের বেতনও অনেক বেশি।
আসসালামুআলাইকুম। গত পর্বে আমারা অন-পেজ এসইও করার কৌশল অর্থাৎ অন-পেজ এসইও পর্ব-১ এ এর গুরুত্বপূর্ণ…
সার্চ ইঞ্জিনে র্যাঙ্কিং এর ক্ষেত্রে অন-পেজ এসইও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে যা ওয়েবসাইটের ভেতরের অপটিমাইজেশন এর…
আপনি জানেন কি, কীভাবে ওয়েবসাইট পিন্টারেস্টে ক্লেইম করবেন? পিন্টারেস্টে ওয়েবসাইট ক্লেম করা খুবই সহজ এবং…
এসইও (সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন) হলো ওয়েবসাইটের র্যাঙ্ক বৃদ্ধি করার প্রক্রিয়া। SEO মূলত ৩ প্রকারঃ অন-পেইজ…
আউটসোর্সিং কী? আউটসোর্সিং শব্দটি ইন্টারনেট জগতে অহরহই শোনা যায়। বর্তমানে এটি একটি জনপ্রিয় ব্যবসায়িক কৌশল।…
ফ্রিল্যান্সিং কী? এটা কতটা জনপ্রিয়? বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং একটি জনপ্রিয় ক্যারিয়ার। নির্দিষ্ট নিয়ম বা অফিসের বাঁধা-ধরা…