পাইথন কি? কেন শিখবো? জরুরী ক্যারিয়ার টিপস
মনের ভাব প্রকাশ করতে যেমন প্রয়োজন ভাষা, তেমনি কম্পিউটের ভাষা বুঝতে দরকার প্রোগ্রামিং ভাষা। তার মধ্যে অন্যতম একটি হলো পাইথন। পাইথন হাই লেভেল ভাষা হওয়ায় এটি সহজেই মানুষের ভাষার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ এবং সহজবোধ্য।
তাই পাইথন প্রোগ্রামিং এ যাত্রা শুরু হতে পারে ক্যারিয়ারের মোড় ঘোরানোর সঠিক সিদ্ধান্ত।
এটি একদিকে যেমন রকেট সাইন্স, রোবোটিক্স, ওয়েব ডেভেলপমেন্টের মতো আধুনিক প্রযুক্তির জন্য অপরিহার্য। তেমনি সব ধরণের শিক্ষার্থী এটি সহজেই শিখতে পারে।
পাইথন সিম্পল সিনট্যাক্স এবং বিশাল লাইব্রেরি সমৃদ্ধ প্রোগ্রামিং ভাষা। যার দ্বারা দ্রুত প্রজেক্ট তৈরি করা যায়।
তাই, ক্যারিয়ার উন্নত করতে এখনই পাইথন শিখুন!
কেন পাইথন শিখা উচিত?
কোন দেশকে প্রযুক্তির দেশ বলা হয়?
গুগল সার্চে উত্তর হিসেবে প্রথমেই আসবে দ্রুত প্রযুক্তিগত উন্নত, সমৃদ্ধ এবং প্রযুক্তি শিল্পের জন্য পরিচিত দেশ হলো চীন।
আর গুগল ট্রেন্ডস এর তথ্যনুসারে-

চীনে প্রায় ১০০% জায়গায়ই নির্বাচিত প্রোগ্রামিং ভাষা হচ্ছে পাইথন।
বিশ্বের অন্যতম উন্নত দেশগুলো যদি কম্পিউটার ভাষা হিসেবে পাইথনকে বেছে নেয়, তবে এটা বলার অপেক্ষা রাখে না যে- পাইথন কেন শেখা উচিত?
পাইথন কি?
পাইথন একটি জনপ্রিয় উচ্চস্তরের অবজেক্ট অরিয়েন্ট প্রোগ্রামিং ভাষা। ১৯৯১ খ্রিস্টাব্দে নেদারল্যান্ডে বাসকারী গুইডো ভ্যান রসাম এটি প্রথম প্রকাশ করেন।
এর সহজ সিনট্যাক্স এবং বহুমুখী ব্যবহার যোগ্যতার জন্য এটি AI প্রকল্প তৈরিতে সেরা একটি ভাষা হিসেবে বিবেচিত হয়ে উঠেছে।

পাইথনে ব্যবহৃত প্রযুক্তি:
- ওয়েব ডেভেলপমেন্ট: ওয়েব ডেভেলপমেন্টের জন্য ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। পাইথন দিয়ে সহজেই ডাইনামিক ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করা যায়।
- কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI): কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) ও মেশিন লার্নিং (ML) এর জন্য ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়।
- AI ও মেশিন লার্নিং: পাইথন হল AI এবং মেশিন লার্নিং প্রকল্পের জন্য একটি আদর্শ ভাষা যা সহজেই শিখতে এবং ব্যবহার করতে পারে।
- AI প্রজেক্ট: পাইথন দিয়ে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং ডিপ লার্নিং প্রজেক্ট খুবই সহজ তৈরি করা যায়।
- AI শেখার জন্য সেরা রিসোর্স: পাইথন ব্যবহার করে AI শেখার জন্য অনলাইন কোর্স এবং টিউটোরিয়াল সমূহ অত্যন্ত সহায়ক।
- AI প্রোগ্রামিং: পাইথন হল AI প্রোগ্রামিং এবং অটোমেশন ব্যবস্থাপনায় ব্যবহৃত একটি অত্যন্ত জনপ্রিয় ভাষা।
পাইথন নামকরণ কিভাবে হলো?
Python এর আভিধানিক বাংলা অর্থ হলো ‘অজগর’। তবে ভয়ঙ্কর এ সাপের নামানুসারে এর নামকরণ করা হয়নি। গুইডো ভ্যান রসাম (Guido van Rossum) যখন পাইথন ভাষা তৈরি করতে শুরু করেছিলেন তখন সময়টি ছিল ১৯৭০ সাল।
তৎকালীন সময়ে “মন্টি পাইথন ফ্লাইং সার্কাস” নামে একটি ব্রিটিশ কমিডি সিরিজ খুবই জনপ্রিয় ছিল। ঐ “মন্টি পাইথন ফ্লাইং সার্কাস” নামের সাথে সামঞ্জস্য রেখেই নামকরণ করা হয় ‘পাইথন’।
আর হ্যা গুইডো ভ্যান রসাম পাইথন ভাষাকে ১৯৯১-২০১৭ সাল পর্যন্ত তার নিজ নিয়ন্ত্রণে রাখেন।
তার অবসরের পর বিভিন্ন সদস্যদের মধ্যে থেকে ২০১৮ সালে স্টিভেন ডাউন “পাইথন উন্নয়ন প্রক্রিয়ার” গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
পাইথন কোন ধরণের প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ?
পাইথন বুঝতে হলে আগে বুঝতে হবে এই প্রোগ্রাম কিভাবে কাজ করে। সাধারণত প্রোগ্রামিং ভাষাগুলো দুটি প্রক্রিয়া অনুসরণ করে।
- কম্পাইলার
- ইন্টারপ্রেটার
এই দুটোই প্রোগ্রামিং ভাষার কোড। যা কম্পিউটারে চালানোর জন্য ব্যবহৃত হয়। তবে এদের কাজের পদ্ধতি ভিন্ন।

কম্পাইলার: পুরো সোর্স কোডটি একবারে পড়ে এবং মেশিন ল্যাঙ্গুয়েজ (মেশিন কোড) ফাইলে অনুবাদ করে। সি, সি++ ভাষাগুলোতে কোড চালাতে কম্পাইলার ব্যবহার হয়।
ইন্টারপ্রেটার: সোর্স কোড লাইন-বাই-লাইন পড়ে এবং সাথে সাথেই কোডটি অনুবাদ করে তৎক্ষণাৎ ফলাফল প্রদান করে। পাইথন, জাভাস্ক্রিপ্ট ইত্যাদি ইন্টারপ্রেটার ব্যবহার হয়।
তাই পাইথনকে ইন্টারপ্রেটার প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ বলা হয়।
পাইথন কেন এত জনপ্রিয়?
সহজ সিনটেক্স (গঠন), মানুষের ভাষার কাছাকাছি এবং সহজেই শেখা যায় বলেই পাইথন এর জনপ্রিয়তা এত বেশি। বিশ্বের প্রায় ২০০টি দেশে প্রোগ্রামিং ভাষা হিসেবে পাইথন ব্যবহার করা হয়।

- পাইথনের কোড সংক্ষিপ্ত এবং লেখা ও বোঝা সহজ।
- প্রচুর শক্তিশালী বিল্ট-ইন লাইব্রেরি ও ফ্রেমওয়ার্ক রয়েছে। যেমন— NumPy, Pandas, Matplotlib, TensorFlow, PyTorch, Django, Flask, OpenCV
- এটি ক্রস-প্ল্যাটফর্ম সমর্থন করে। যেমন— Windows, Mac, Linux
- বিভিন্ন খাতে ব্যবহারের সুবিধা রয়েছে। যেমন- ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, ডেটা সায়েন্স ও মেশিন লার্নিং, স্ক্রিপ্টিং ও অটোমেশন, গেম ডেভেলপমেন্ট, এবং সাইবার সিকিউরিটি ইত্যাদি।
- পাইথনের বিশাল ডেভেলপার কমিউনিটি রয়েছে।
- চাকরির সুযোগ বেশি। ডাটা সায়েন্স, এআই, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, সাইবার সিকিউরিটি—সবক্ষেত্রেই পাইথনের চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলেছে।
- আনুষ্ঠানিক ও বড় কোম্পানিগুলোর সমর্থন। যেমন— Google, Facebook, Netflix, NASA, Dropbox, Instagram
সহজ, শক্তিশালী, বহুমুখী, এবং বিশাল কমিউনিটির কারণে পাইথন বর্তমানে বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় প্রোগ্রামিং ভাষা।
আপনি কি পাইথন শিখতে চান?
নিচের কোডগুলি লক্ষ্য করুন। C প্রোগ্রামিং ভাষায় প্রিন্ট করার জন্য ৮ লাইন আর পাইথনে প্রিন্ট করার জন্য মাত্র ১ লাইন শিখলেই যথেষ্ট। মজার ব্যাপার হচ্ছে দুটি প্রোগ্রামের আউটপুট কিন্তু একই।
সি প্রোগ্রাম কোড :
Source code:
- #include
- int main() {
- printf(“Hello world”);
- return 0;
- }
output: Hello world
পাইথন প্রোগ্রাম কোড :
Source code:
- print(“Hello world”)
output: Hello world
উপরোক্ত দুটি প্রোগ্রামিং ভাষা (সি এবং পাইথন) ব্যবহার করে কোড করা হয়েছে। যেখানে প্রোগ্রাম দুটি এক্সিকিউট করলে আউটপুট হিসেবে Hello world দেখাচ্ছে।
পাইথন ল্যাঙ্গুয়েজ ও পাইথন প্রোগ্রামিং এর মধ্যে পার্থক্য কি?
বাংলায় “আমি বাংলাদেশকে ভালোবাসি” আর ইংরেজিতে “I Love Bangladesh” কথা দুটোর মূল বিষয় একই, শুধুমাত্র ভাষা ভিন্ন। মূলত প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজগুলো মোটামুটি একই, শুধুমাত্র সিনটেক্সগুলো ভিন্ন।
কম্পিউটারে ব্যবহৃত সিস্টেম বা এ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার তৈরি করতে প্রোগ্রাম লাগে। এটি অনেকগুলো প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ (সি ,সি++,জাভা ইত্যাদি) দ্বারাও তৈরি করা যায়।
উপরোক্ত উদাহারণ “আমি বাংলাদেশকে ভালোবাসি” ভাষা যেমনই হোক মূল বাক্য একই। ঠিক তেমনি প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ যেটাই হোক সিস্টেম বা সফটওয়্যারের কার্যকম একই।
অর্থাৎ পাইথন ল্যাঙ্গুয়েজ দ্বারা তৈরীকৃত হলে সেটা পাইথন সিস্টেম। এই হলো পাইথন ল্যাঙ্গুয়েজ আর পাইথন সিস্টেম মধ্যে পাৰ্থক্য।
কোন কোন ফিল্ডে পাইথন ব্যবহৃত হচ্ছে?
অনেকেই স্বপ্ন দেখে হ্যাকার হওয়ার, ChatGPT’র মতো আধুনিক AI টুল তৈরি করার বা বর্তমানের ট্রেন্ডি বিষয়গুলো যেমন ক্রিপ্টোকারেন্সি নিয়ে কাজ করার।
এ ধরনের প্রকল্প বা Backend সিস্টেম তৈরি করতে প্রয়োজন প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজে দক্ষতা অর্জন করা। বিভিন্ন প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ দিয়ে ব্যাকএন্ড সিস্টেম তৈরি করা যায়।
তবে বড় বড় প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের প্ল্যাটফর্ম তৈরিতে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই পাইথন ব্যবহার করে। এর প্রধান কারণ পাইথনের সহজতা, শক্তিশালী ফ্রেমওয়ার্ক, এবং ব্যাপক লাইব্রেরি সমর্থন।
যেমন: পাইথনের Django এবং Flask ফ্রেমওয়ার্ক দিয়ে দ্রুত ও নিরাপদ ব্যাকএন্ড তৈরি করা সম্ভব। এই ল্যাঙ্গুয়েজটি এতটাই কার্যকরী যে বিশ্বব্যাপী AI, ডেটা সায়েন্স, এবং ব্লকচেইন প্রযুক্তি নির্মাণে এটি ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে।

তাই যদি আপনার স্বপ্ন থাকে আধুনিক প্রযুক্তিতে নিজের ক্যারিয়ার গড়া বা যুগান্তকারী কোনো প্ল্যাটফর্ম তৈরি করার, তাহলে এখনই পাইথন শেখার যাত্রা শুরু করুন। এটি আপনাকে শুধু স্বপ্নপূরণে সাহায্য করবে না, একই সঙ্গে বিশ্বমানের প্রযুক্তি নির্মাতাদের দলে জায়গা করে নিতেও সাহায্য করবে।
১। Google
Python এর অন্যতম বড় ব্যবহারকারী হচ্ছে Google. Backend ডেভেলপমেন্ট, ডাটা এনালিটিকস, মেশিন লার্নিং, এবং সিস্টেম অটোমেশন-এ Python ব্যবহার করা হয়।
বিভিন্ন সার্ভিসে Python:
- YouTube (Google এর মালিকানাধীন) এর অনেক অংশ Python-এ ডেভেলপ করা।
- Google App Engine-এ Python সাপোর্ট করে।
২। YouTube
YouTube এর Backend ডেভেলপমেন্টে Python ব্যবহার করা হয়েছে। Python ব্যবহার করা হয় ভিডিও শেয়ারিং, ডেটা ম্যানেজমেন্ট, এবং কাস্টমাইজেশন অ্যালগরিদমে।
৩। Instagram
Instagram-এর প্রায় পুরো Backend জ্যাঙ্গো (Python ফ্রেমওয়ার্ক) ব্যবহার করে তৈরি। এটি দ্রুত ডেভেলপমেন্ট, ডেটাবেস অপারেশন, এবং API হ্যান্ডলিং-এর জন্য বিশেষভাবে কার্যকর।
Python এর ব্যবহার:
- সহজ কোড রিডেবিলিটি।
- স্কেলিং সহজ।
৪। Netflix
- মাইক্রোসার্ভিস আর্কিটেকচার, মেশিন লার্নিং অ্যালগরিদম, এবং ডেটা অ্যানালিটিকস-এ Python ব্যবহার করা হয়।
- Netflix-এর ব্যবহারকারীর পছন্দ অনুযায়ী কন্টেন্ট সাজানো (Recommendation System) Python-এর মাধ্যমে পরিচালিত।
৫। Dropbox
- Dropbox-এর ক্লায়েন্ট এবং সার্ভার উভয় অংশ Python ব্যবহার করে তৈরি।
- ডেটা সিঙ্ক্রোনাইজেশন এবং ব্যবহারকারী ম্যানেজমেন্ট-এ Python গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
Python এর অবদান:
- দ্রুত ডেভেলপমেন্ট এবং ফিচার আপডেট।
৬। Spotify
- Spotify এর ব্যাকএন্ড এনালিটিকস এবং মিউজিক রিকমেন্ডেশন সিস্টেম Python ব্যবহার করে।
- মেশিন লার্নিং এবং ডেটা প্রসেসিং-এর জন্য Python গুরুত্বপূর্ণ।
৭। Reddit
- Reddit একটি Python ভিত্তিক ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন।
- এর মূল কাঠামো Python ব্যবহার করে তৈরি এবং দ্রুত আপডেটের জন্য এটি খুব কার্যকর।
৮। Quora
- Quora তাদের পুরো ব্যাকএন্ড সিস্টেম Python এবং Tornado (Python ফ্রেমওয়ার্ক) ব্যবহার করে তৈরি করেছে।
৯। Facebook
- Facebook কিছু সিস্টেমের জন্য Python ব্যবহার করে।
- Python-এর মাধ্যমে Facebook এ ডেটা অ্যানালাইসিস এবং মেশিন লার্নিং মডেল পরিচালনা করে।
১০। NASA
- NASA তাদের বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক গবেষণার জন্য Python ব্যবহার করে।
- ডেটা অ্যানালাইসিস, সিমুলেশন এবং অটোমেশন স্ক্রিপ্টিং-এর জন্য Python ব্যবহার করে।
Python ব্যবহারের কারণ:
- সহজ এবং পড়তে সুবিধাজনক।
- বেশি লাইব্রেরি এবং ফ্রেমওয়ার্ক উপলব্ধ। (যেমন Django, Flask, TensorFlow)
- বহুমুখী ব্যবহার।
- স্কেলযোগ্য এবং দ্রুত ডেভেলপমেন্ট সম্ভব।
পাইথন প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজের সুবিধা কি কি?

- সহজ এবং পড়তে সুবিধাজনক।
- শেখার জন্য উপযুক্ত।
- ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, ডেটা সায়েন্স, মেশিন লার্নিং এ ব্যবহার করা যায় ।
- ওপেন সোর্স এবং ফ্রি।
- বড় কমিউনিটি এবং সাপোর্ট।
- অসংখ্য লাইব্রেরি এবং ফ্রেমওয়ার্ক।
- দ্রুত ডেভেলপমেন্ট সম্ভব।
- স্কেলযোগ্য এবং শক্তিশালী।
- অটোমেশন এবং স্ক্রিপ্টিং সহজ।
- ছোট থেকে বড় প্রজেক্টে ব্যবহৃত হয়।
পাইথনের জয়প্রিয় কিছু ফ্রেমওয়ার্ক
২০২৫ সালে শেখার জন্য ১০টি সেরা পাইথন ফ্রেমওয়ার্ক:
১। Django (ওয়েব ডেভেলপমেন্ট)
২। Flask (মাইক্রো ওয়েব ফ্রেমওয়ার্ক)
৩। Pyramid (ফ্লেক্সিবল ওয়েব ফ্রেমওয়ার্ক)
৪। CherryPy (ওয়েব সার্ভার ও ফ্রেমওয়ার্ক)
৫। Bottle (মাইক্রোফ্রেমওয়ার্ক)
৬। CubicWeb (ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন ফ্রেমওয়ার্ক)
৭। Dash (ডেটা ভিজুয়ালাইজেশন ও ইন্টারঅ্যাকটিভ ড্যাশবোর্ড)
৮। Tornado (স্কেলেবল নেটওয়ার্কিং ও অ্যাপ্লিকেশন)
৯। FastAPI (API ডেভেলপমেন্ট)
১০। Hug (API ডেভেলপমেন্ট ও সহজ কনফিগারেশন)
পাইথনের জনপ্রিয় কিছু লাইব্রেরি
১। Pandas (ডেটা অ্যানালাইসিস লাইব্রেরি)

২। NumPy (বৃহৎ ডেটা অ্যারে এবং ম্যাট্রিক্সের জন্য)
৩। Matplotlib (ডেটা ভিজুয়ালাইজেশন)
৪। Scikit-learn (মেশিন লার্নিং লাইব্রেরি)
৫। TensorFlow (ডিপ লার্নিং ফ্রেমওয়ার্ক)
৬। PyTorch (ডিপ লার্নিং ফ্রেমওয়ার্ক)
৭। Keras (ডিপ লার্নিং লাইব্রেরি, TensorFlow এর উপর ভিত্তি করে)
৮। SciPy (বৈজ্ঞানিক গণনা লাইব্রেরি)
৯। Seaborn (উচ্চ মানের ডেটা ভিজুয়ালাইজেশন)
১০। Theano (ডিপ লার্নিং লাইব্রেরি)
১১। Requests (HTTP রিকোয়েস্ট পাঠানো)
১২। LightGBM (মেশিন লার্নিং লাইব্রেরি, গ্র্যাডিয়েন্ট বুস্টিং)
১৩। PyBrain (মেশিন লার্নিং ফ্রেমওয়ার্ক)
১৪। Plotly (ইন্টারঅ্যাকটিভ গ্রাফ এবং ডেটা ভিজুয়ালাইজেশন)
১৫। Pygame (গেম ডেভেলপমেন্ট লাইব্রেরি)
১৬। Scrapy (ওয়েব স্ক্র্যাপিং ফ্রেমওয়ার্ক)
১৭। Bokeh (ডেটা ভিজুয়ালাইজেশন)
১৮। Beautiful Soup (ওয়েব স্ক্র্যাপিং লাইব্রেরি)
১৯। CatBoost (মেশিন লার্নিং লাইব্রেরি, গ্র্যাডিয়েন্ট বুস্টিং)
২০। OpenCV (কম্পিউটার ভিশন লাইব্রেরি)
২১। XGBoost (মেশিন লার্নিং লাইব্রেরি, গ্র্যাডিয়েন্ট বুস্টিং)
বাংলাদেশে পাইথন ল্যাঙ্গুয়েজ নিয়ে ক্যারিয়ার
বাংলাদেশে টেক ইন্ডাস্ট্রি খুব দ্রুত প্রসারিত হচ্ছে। আগে এখানে ছোট ছোট প্রজেক্ট ভিত্তিক কাজ বেশি হতো। কিন্তু এখন বিশ্বব্যাপী প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে বড় বড় টেক ইন্ডাস্ট্রি জটিল ও বৃহৎ প্রজেক্টগুলো নিয়ে কাজ করছে। এ ধরনের বড় প্রজেক্ট সম্পন্ন করতে প্রয়োজন হয় উচ্চ মানের ফ্রেমওয়ার্ক, এবং এই ক্ষেত্রে পাইথন ল্যাঙ্গুয়েজ অত্যন্ত কার্যকর।
বিশেষ করে, পাইথনের Django ফ্রেমওয়ার্ক বাংলাদেশের প্রযুক্তি খাতে খুবই জনপ্রিয়। জব সার্চ করলে দেখা যায়, Django ডেভেলপারদের জন্য কোম্পানিগুলো আকর্ষণীয় বেতনে ডেভেলপার নিয়োগ দিচ্ছে।
এ ছাড়া, বাংলাদেশের টেক ইন্ডাস্ট্রিতে প্রজেক্ট ভিত্তিক কাজ বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে ডেটা অ্যানালাইসিসের প্রয়োজনীয়তাও বেড়ে চলেছে। এর ফলে, ডেটা অ্যানালিস্ট পেশার চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। ভবিষ্যতে এই সেক্টরে প্রচুর সুযোগ তৈরি হবে। তবে ডেটা অ্যানালিস্টের তুলনায় ডেভেলপারের সংখ্যা কম হতে পারে।
যারা প্রযুক্তিতে ক্যারিয়ার গড়তে চান, তাদের এখনই পাইথন শেখা শুরু করা উচিত। পাইথন শুধু শেখা সহজ নয়, এটি দিয়ে ডেটা অ্যানালাইসিস, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, এবং আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রের কাজ দক্ষতার সঙ্গে করা যায়।
আজই সঠিক রোডম্যাপ অনুসরণ করে পাইথন শেখার যাত্রা শুরু করুন এবং দেশের টেক ইন্ডাস্ট্রিতে নিজের ভূমিকা রাখুন।
পাইথন শিখলেই হবে? নাকি প্রবলেম সলভিংও করতে হবে?
পাইথন হলো কম্পিউটারের একটি ভাষা। প্রবলেম সলভিং একটি গুরুত্বপূর্ণ দক্ষতা, আর এই দক্ষতা কাজে লাগাতে প্রোগ্রামিং ভাষার প্রয়োজন হয়—সেটি যে ভাষাই হোক না কেন।
কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষার্থী অনেক বেশি হওয়ায় বড় বড় ইন্ডাস্ট্রিগুলো, যেমন Google, Facebook, Amazon, সরাসরি বুঝতে পারে না কোন শিক্ষার্থী ভালো বা খারাপ। তবে তারা প্রবলেম সলভিং টেস্ট নিয়ে দক্ষ ইঞ্জিনিয়ার চিহ্নিত করে থাকে।
তাই পাইথন শেখার পাশাপাশি প্রবলেম সলভিং স্কিল অর্জন করা জরুরি। এটি আপনাকে বিশ্বমানের প্রতিষ্ঠানে কাজ করার জন্য প্রস্তুত করতে সাহায্য করবে।
কিভাবে পাইথন শিখবেন?
যেকোনো কিছু শিখতে গেলে প্রয়োজন মজবুত মনোবল এবং প্রচুর ধৈর্য। সঠিক রোডম্যাপ অনুসরণ করলে পাইথন শেখা হয়ে উঠতে পারে অত্যন্ত সহজ একটি প্রক্রিয়া। তাই নিজের ক্যারিয়ারকে উন্নতির পথে এগিয়ে নিতে আজই শুরু করুন পাইথন শেখার যাত্রা।
ইউটিউবসহ অনেক প্ল্যাটফর্ম রয়েছে যেগুলোর মাধ্যমে পাইথন শিখা যায়। তবে বড় বড় টেক ফেমাস জনরা বই বা ব্লগ পোস্ট পড়তে রেকমেন্ড করে। তাই বই বা ব্লগ পোস্ট থেকে শিখতে চান, তাহলে কয়েকটি ভালো রিসোর্স রয়েছে।
তার মধ্যে ইংরেজি ভাষায় শিখতে চাইলে w3schools.com একটি চমৎকার প্ল্যাটফর্ম। এখানে সহজভাবে পাইথন শিখতে পারবেন।
আর যদি বাংলায় শিখতে চান তবে hamimit.com/python একটি ভালো বিকল্প।
এই প্ল্যাটফর্মগুলো বা পাইথন এর নিজস্ব ডকুমেন্টেশন থেকে থেকে আপনি সহজেই পাইথনের বিভিন্ন কনসেপ্ট শিখতে পারবেন।